স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির একপক্ষের নেতা জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল ও তার ভাই ড. নুরে আলম।
রোববার বিকেলে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ড.নুরে আলম লিখিত বক্তব্যে এ মামলা প্রত্যাহারে দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক সালাউদ্দিন জুয়েল, সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের সহকারী অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমজিয়াজ বকুল, সোনারগাঁ জি আর ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক গোলাম মর্তূজা কাজল, সোনারগাঁ পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ তপন, বিএনপি নেতা এনামুল হক রবিন, খোরশেদ আলম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে ড. নুরে আলম বলেন, তিনি বিএনপির রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কাঁচপুর ব্রীজের ঢালুতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ককটেল বিষ্ফোরণ, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করেন। সেখানে ইব্রাহিম নামের এক যুবক মারা যায়। ওই ঘটনায় গত ২৩ আগষ্ট নিহতের বাবা মো. হানিফ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ২৮ নম্বর আসামী হিসেবে তাকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। বিএনপির একটি অংশ ঈশ্বার্ণিত হয়ে তাকে এ মামলায় উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে জড়িয়েছে। এ মামলা তদন্ত করে যারা জড়িত নয় তাদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আওয়ামীলীগের রোষানলে ছিলেন। তার ভাই শাহ আলম মুকুল নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাছাড়া তার পরিবার আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। এখন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের নাম যুক্ত করে মামলা দেয়া খুবই দুঃখজনক।
জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যে ব্যক্তির ‘ক’ লিখতে কলম ভেঙে যায়, তার নেতৃত্বে বিএনপির কেউ থাকবেন না। সে পরিকল্পিতভাবে আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পরে তিনি তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন বলেন, মামলার এজাহারে বাদি কার নাম অর্ন্তভূক্ত করেছেন এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তবে তদন্ত করে কারো অপরাধ প্রমাণিত না হলে বাদ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরুধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গত কয়েকদিনে সোনারগাঁয়ে মামলার হরিলুট লেগেছে। এরই মধ্যে হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা হয়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সোনারগাঁ থানা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান পরিকল্পিতভাবে সোনারগাঁ উপজেলার নিরীহ জনগণ, সাংবাদিক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের অনুসারীদেরকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছেন বলে একটি সুত্র জানায়।