স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ভূমি অফিস ও এর অধিনন্ত ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলো দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য এ কথা অনেকটাই এখন ওপেন সিক্রেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোনারগাঁয়ের অনেক ভুক্তভোগী জানান, সোনারগাঁয়ের আমিনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পিয়ন আব্দুর রবের প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেন এটা এখন আর নতুন কিছু নয়। তার কাছে ভুমি সংক্রান্ত কোন সেবা নিতে গেলে আগে তার সাথে হাতে টাকা নিয়ে দেখা না করলে কোন কাজই সহজভাবে সম্পন্ন করা অসম্ভব হয়ে যেতো। আর সাধারন মানুষের কাছে টাকা (ঘুষ) গ্রহন করে ইতিমধ্যেই তিনি অনেক টাকার মালিক বনে গেছেন। তারা আরও জানান, সোনারগাঁয়ে থাকার আগে তার তেমন কিছু ছিল না। আর এখন ভূমি অফিসের চাকরী পেয়ে সোনারগাঁ থানার সন্নিকটে আয়েশা আমজাদ ক্লিনিকের বিপরীতে গড়ে তুলেছে এই দূর্ণীতিবাজ আব্দুর রব একটি বহুতল ভবন। এটা দেখে স্থানীয় অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে একজন পিয়নের বেতনইবা কত? তিনি কিভাবে বিল্ডিংসহ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছেনা। নামজারীর পর্চা দেয়ার আগে টাকা নেয় এই দূর্ণীতিবাজ পিয়ন আব্দুর রব। আমিনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীও এই ঘুষ লেনদেনের সাথে জড়িত।
আমরা চাই সোনারগাঁয়ের আমিনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এই দূর্ণীতিবাজ পিয়ন আব্দুর রবের বিষয়ে তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। সোনারগাঁয়ের আমিনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পিয়ন আব্দুর রবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক, সোনারগাঁ এসিল্যান্ড ও উপজেলা ইউএনও মহোদয় কার্যকরী ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
এখানে উল্লেখ্য যে, এর পূর্বেও জালিয়াতি ও প্রতারনার মামলায় সোনারগাঁ ভূমি অফিসের সাবেক সার্ভেয়ার নুরে আলম, উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র ও ওমেদার ইমরানের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারনা ও ঘুষ লেনদেনের প্রমান পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় আদালতে।