স্টাফ রিপোর্টারঃ সোনারগাঁয়ে বাড়ির সবাইকে হাত পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই বাড়িতে ডাকাতি সংগঠিত করেছে মুখোশধারী ডাকাতদল। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বশিরগাঁও ও আড়াইটার দিকে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল স্বর্ণালংকার, মোবাইল, নগদ টাকাসহ প্রায় ২২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতিতে বাঁধা দেয়ায় ডাকাতরা বশিরগাঁও গ্রামের বাড়ির গৃহকর্তাসহ ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় বাড়ির গৃহকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. শরীফ মিয়া বাদি হয়ে পৃথকভাবে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার জামপুরে ইউনিয়নের বশিরগাঁও গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম বাড়িতে গরু পালন ও রিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। তার ছেলে সাব্বির আহম্মেদ রূপগঞ্জের গাউছিয়ায় বাস কাউন্টারে চাকরী করে। সাব্বির তার স্ত্রীকে নিয়ে গাউছিয়ায় বসবাস করে। মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ থাকায় তার ছেলে ও ছেলের বউ বশিরগাঁও গ্রামের তাদের বাড়িতে গত সোমবার তার স্ত্রীকে দেখতে যান। গত সোমবার দিবাগত রাতে বাড়ির সবাই খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ১০-১২ জন মুখোশধারী ডাকাতদল সিমেন্টের পিলার দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় বাড়ির সবাই ঘুম থেকে জেগে উঠলে সবাইকে হাত পা বেঁধে ছেনা ও রামদা দিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ফেলে। পরে ডাকাতদল টাকা ও স্বর্ণালংকার দিতে বললে তাদের ডাকাতি কাজে বাধাঁ দিলে ডাকাতরা বাড়ির গৃহকর্তা জাহাঙ্গীর আলম (৫৫), অসুস্থ গৃহকর্তী হাওয়া বেগম (৪৫), ছেলে সাব্বির আহমেদ (২০), ছেলের বউ লামিয়া আক্তার (১৮), মেয়ে ছানিয়া আক্তার (১৬) ও নাদিয়া আক্তার ( ১৫) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ডাকাতদল প্রায় ২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, ৪টি মোবাইল সেট, নগদ ১৬ হাজার টাকাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির সকলেই আহত অবস্থায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়।
অপরদিকে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের শরীফ মিয়ার বাড়িতে গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডাকাতদল হানা দিয়ে চৌদ্দ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৫ লাখ টাকাসহ ২০ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শরীফ মিয়া বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান পিপিএম জানান, ডাকাতির ঘটনায় থানায় পৃথক অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।