স্টাফ রিপোর্টারঃ সোনারগাঁয়ে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। গতকাল শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতাপের চর এলাকায় তার নিজ বাড়িতে ‘চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নানারকম অস্থিরতা, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা এবং অপপ্রচার’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সোনারগাঁয়ের সকল ধরনের ধ্বংসাক্তক কার্যকলাপ বন্ধে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা শান্তি শৃঙ্খলা বজার রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। তবে কিছু হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার কথা শুনেছি। এগুলো বিচ্ছিন্নভাবে ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের নেতা-কর্মীদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমাদের লোকজন কেউ হামলার সঙ্গে জড়িত বা প্রমাণ পাওয়া গেলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসীবাদি সরকারের লোকজন বিভিন্ন গ্রুপ করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংগঠিত করেছিল। সেই ব্যক্তিগত আক্রোশে সুযোগ সন্ধানীরা একে অপরের ওপর হামলা, বাড়িঘর ভাংচুর করে বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার পতনের পর থেকে আমরা সংখ্যালঘুদের মন্দির ও থানা শান্তিপূর্নভাবে পাহাড়া দিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া নানা চক্রান্তের বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য সকলকে আহবান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, রফিকুল ইসলাম বিডিআর, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মোতালেব মিয়া, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম সরকার, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রফিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খায়রুল ইসলাম সজিব, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী আঃ রহমান মুন্সি, সনমান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাফিউদ্দিন মজনু, সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান মাসুম, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান। এসময় সেখানে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।