এক সুন্দরীর প্রেমে হাবুডুবু ও গ্যারাকলে পড়ে ১০ লাখ টাকা খোয়া গেছে গাইবান্ধা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা থানায় ওই ‘প্রতারক সুন্দরী নারীর’ বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগেও, এই নারী পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ একাধিক ব্যক্তিকে বিয়ে করে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ওই নারীকে অনেক টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন পুলিশের এসআই কোরবান আলী। তুচ্ছ ঘটনায় তাদের সংসার ভেঙে যায়। এরপর স্বামীর কাছে যৌতুকসহ দেনমোহর দাবি করে মামলা করেন। পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ঘটনা শেষ করেন।
এরপর ওই নারী বিয়ে করেন এক সাংবাদিককে। সে সংসারে তাদের দুটি সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সাংসারিক জীবনে তাদের বনিবনা না হওয়ায় সাংবাদিকও তাকে তালাক দেন। কিন্তু এই স্বামীর বিরুদ্ধেও আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। জামিন নিতে গিয়ে সেই সাংবাদিক দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন।
পরে আবার চেপে বসেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাপা নেতা আতাউর রহমান আতার ঘাড়ে। রূপ দেখে আগের ঘটনা ভুলে যান আতাউর রহমান। তারপর জমে ওঠে তাদের প্রেম। দুজনে মিলে গোপনে ‘আরাবি ফ্যাশন হাউস’ নামের একটি দোকান খোলেন সিনেমা সড়কের একটি বিপণীকেন্দ্রে।
আতাউর রহমান’কে ভুলিয়ে ওই নারী তার কাছ থেকে গত এক বছরে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ক্ষমতাচ্যুত হলে তার প্রেমে ভাটা ও টাকায় টান পড়ে। বাধ্য হয়ে ওই সুন্দরীর কাছে কয়েকবার ধরনা দিয়েও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। একদিন গিয়ে দেখেন গায়েব হয়ে গেছেন ওই নারীসহ তার ফ্যাশন হাউস।
এ ঘটনা গাইবান্ধা শহরে ছড়িয়ে পড়লে হইচই পড়ে যায়। মানুষের মুখে মুখে ওই সুন্দরী গৃহবধূর নাম উঠে আসে। বেকায়দায় পড়ে গাইবান্ধার সদ্য পদচ্যুত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান থানায় গত ১৪ এপ্রিল ওই সুন্দরী নারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে আতাউর রহমান আতা বলেন, আমি তার রূপ-যৌবনের প্রতি আকর্ষিত হয়ে; তাকে ব্যবসায়ীক পার্টনার করে টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু টাকা নিয়ে এখন তিনি গায়েব।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, ওই মহিলা মামলাবাজ। তিনি ব্যবসার আড়ালে মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করতেন। খুব শিগগির তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।