সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আরাফাত রহমান বাবু ওরফে ফেন্সি বাবু গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাতে মিজমিজি এলাকা থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির (২) তাকে গ্রেপ্তার করে। এর সত্যতা নিশ্চিত করে এসআই হুমায়ুন কবির (২) জানান, গ্রেপ্তারকৃত বাবু একটি ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার আসামি। দীর্ঘদিন থেকে সে পলাতক রয়েছে।
পরে তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারী পরোয়নারা (ওয়ারেন্ট) জারী করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ওয়ারেন্টে বাবুকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরাফাত রহমান বাবু ওরফে ফেন্সি বাবু সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ড মিজমিজি পাগলা বাড়ি এলাকার কোমল বাস ড্রাইভার কুট্টি মিয়ার ছেলে। সে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, হত্যা মামলার আসামি এই ফেন্সি বাবু মিজমিজি পুর্বপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা করে রাতারাতি প্রচুর টাকার মালিক বনে যাওয়ায় কাউকে সে পরোয়া করে না। মাদক বিক্রির টাকা দিয়ে গড়ে তুলেছে বখাটে যুবক ও কিশোর ছেলেদের নিয়ে কিশোরগ্যাং।
মাদক বিক্রির টাকা দিয়ে সে তার গ্রুপ লালন পালন করে। আর এই গ্রুপের সদস্যদের দিয়ে এলাকায় সব ধরনের অপরাধ পরিচালনা করে। তার বিরুদ্ধে কেউ মূখ খুলতে সাহস পায়না। এলাকার কোন মানুষ এই চক্রের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাদেরকে নানাভাবে ঘায়েল করার চেষ্টা করে।
ফেন্সি বাবু ২০১৩ সালের ২৭ মে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি সিআই খোলা এলাকার কলেজ ছাত্র কাউছার (১৮) কে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে। মামলা নং-৩০। ২৭-০৫-২০১৩। মামলায় বাবু ৩ নম্বর আসামি।
এই মামলায় বাবু গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিল, পরে জামিনে আসে। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে এসে অপরাধের নেটওয়ার্ক তৈরী করে ফেন্সি বাবু।
হত্যা মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ মামলায় বাবু ওরফে ফেন্সি বাবুকে প্রধান অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন।