নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শদক (এসআই) মির্জা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেথ করে অজ্ঞাত আরো ১২০/১২৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। তবে এ মামলার কোন আসামী গ্রেপ্তার নেই ।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সুমিলপাড়া সাকিনস্থ বিহারী ক্যাম্প সংলগ্ন আদমজী বড় জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ পরবর্তী পুর্ব নির্ধারিত যে বিক্ষোভ কর্মসূচী ছিল, সে সংক্রান্তে তথ্য সংগ্রহসহ জুম্মার নামাজ পরার উদ্দেশ্যে মসজিদ এলাকার বিট ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক উক্ত মসজিদে প্রবেশ করেন।
নামাজের পূর্বে ইমাম সাহেবের বক্তব্যের একপর্যায়ে ইমাম সাহেবের অনুমতিক্রমে উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে একই তারিখ দুপুর দেড়টায় মাইক নিয়ে মসজিদে থাকা মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় ভারতের ঘটনার বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং ভারতের বিষয়টি যাতে আমাদের দেশে কোন প্রভাব ফেলতে না পারে এবং কোন বিশৃংখলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি না হয় সেই সংক্রান্তে উপস্থিত মুসল্লিদের শান্তিপূর্নভাবে থাকার আহ্বান করিলে মসজিদে থাকা পিছনের সারি হইতে কিছু উচ্ছৃংখল যুবক উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হকের বিরদ্ধে হট্টগোল শুরু করেন।
হট্টগোলের একপর্যায়ে বিবাদীগন উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে মসজিদে থাকা সুতরা লাঠি, চেয়ার, জুতা রাখার কাঠের ও প্লাষ্টিকের বাক্স দিয়ে এলোপাথরীভাবে পিটিয়ে, কপালে, নাকের উপর, চোখের নীচে, ঠোটে, পিঠে, হাটু, পায়ে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করার এক পর্যায়ে উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক মসজিদে লুটাইয়া পরিলে স্থানীয় মুসুল্লীগন তাহাকে বাঁচানোর জন্য মসজিদ কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন মাস্টারের বাড়ীতে নিয়া গেলে সংবাদ পাইয়া থানার অফিসার ফোর্স তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।
উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক, উল্লেখিত মসজিদ এলাকার বিট ইনচার্জ। বিট ইনচার্জ হিসাবে তিনি উক্ত মসজিদ সংলগ্ন বিহারী ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকায় বেশ কিছুদিন যাবত মাদক, কিশোর গ্যাং বিরোধী জোরালো অভিযান পরিচালনা করায় মাদকের সহিত সংশ্লিষ্ট এবং কিশোর গ্যাং এর সদস্য এজাহারে উল্লেখিত এবং অজ্ঞাতনামা বিবাদীরাই উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হকের উপর পূর্ব আক্রোশ বশতঃ উক্ত ঘটনা ঘটায়।