সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডে গত বৃহস্পতিবার নিজেদের আধিপত্য জানান দিতে সন্ত্রাসী মতি ও তেল চোর আশরাফের পালিত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আহত বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে তাদের চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে। হামলায় নেত্বতদেন আওয়ামীলীগের রুহুল আমিন, পাবনা (বাবু), মাইচ্ছা মানিক, জয়নালের ছেলে বুইট্রা রনি, সাজাহানের ছেলে পাগলা মিজান, সম্রাট, জালাল উদ্দিন ওরফে পাগলা জালাল, হাসেমের ছেলে দুলাল, হাসুর ছেলে সালাউদ্দিন মতিউরের ছেলে খোকনসহ আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আহত করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোহন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদল সাবেক সিনিয়র সভাপতি আরিফ, মাহবুব, সবুজ শহীদ সহ আরও ৮/১০ জন। এসময় ৮ থেকে ১০টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-চিটাগাং রোড সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। টরম র্দুভোগে পড়ে যাত্রী সাধারণ। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।স্থানীয়রা জানায়, আদমজী ইপিজেডের ইউনিভার্সেল নামক একটি গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর ও সন্ত্রাসী মতির পালিত ক্যাডার শাহ আলম মানিকের সহযোগী রুহুল আমিন এর সহযোগীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তখন রুহুলের সহযোগীরা ইপিজেডের ভেতরে সাগরের সহযোগীদের মারধর করে জখম করে। এর জের ধরে পরে বিকেলে রুহুল আমিন বাহিনী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে মুনলাইট এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। এসময় তারা গুলি বর্ষণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, সড়কে সাংবাদিকের মোটরসাইকেল সহ ৯টি মোটসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এবং ধারালো অস্ত্র হাতে পাশের সফর আলী ভুইয়া মার্কেটে ঢুকে দোকান-পাট ও আরো ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।এক পর্যায়ে রুহুল আমিন সহযোগি পাবনাই বাবু ও রুহুল প্রকাশ্যে অস্ত্র তাক করে গুলি করতে দেখা যায়। পরে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরের লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তুললে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় এক ঘন্টা চলাকালীন সংঘর্ষে নুর আলম, রবিউল, আলামিন, রুহুল সহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এছাড়াও সংঘর্ষের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে রুহুল আমিন সহযোগিরা স্থানীয় ফটো সাংবাদিক মো. তোফাজ্জল হোসেনেকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়।