ওয়ানডে সংস্করণে সাফল্যের ডানা মেলে বিশ্ব ক্রিকেটে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এক সময় চমক মনে হলেও বড় দলগুলোর বিপক্ষে এখন ওয়ানডেতে জয় যেন প্রাপ্য কিছুই। চলতি বছরের শেষে আছে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, নিজেদের চেনা আঙিনায় হওয়ায় বাংলাদেশও স্বপ্ন দেখছে বড় কিছুর।
ঘরের মাটিতে চলছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচের আগেও হাল ছাড়ছে না স্বাগতিক বাংলাদেশ। তাইতো স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ অকপটে বলে দিয়েছেন বিশ্বকাপের প্রস্তুতিস্বরূপ তারা ঢেলে দিতে চান সেরাটা।
সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে রোববার চট্টগ্রামে এমন মন্তব্য করেন হেরাথ, ‘আমরা ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছি দুটো ম্যাচে। তবে অনেক ক্রিকেট আসছে আমাদের সামনে, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ… এরপর বিশ্বকাপ। এই ম্যাচে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে হলেও আমাদের সেরাটা ঢেলে দিতে হবে।’
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে নামবে বাংলাদেশ। জহুর আহমেদের উইকেট এক কথায় ব্যাটিং বান্ধব। এক কথায় স্পোর্টিং উইকেটও বলা যায়। ডিসেম্বরে ভারত এই মাঠেই রানের পাহাড় গড়ে, ডাবল সেঞ্চুরি করেন ইশান কিশান। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে এ ধরনের উইকেটই দেখা যাবে বেশি।
ইংলিশদের বিপক্ষে বলা যায় এক প্রকার পরীক্ষাও। স্পিনে বাড়তি সহায়তা দেবে না এই পিচে। এর মধ্যেই বোলারদের করতে হবে আঁটসাঁট বোলিং। আর ব্যাটসম্যানদেরও ঠিক একই করণীয়, শক্তিশালী বোলিং বিভাগের বিপক্ষে করতে হবে চ্যালেঞ্জিং স্কোর। বিশ্বকাপে বড় কিছু করতে হলেতো এ ছাড়া উপায়ও নেই।
তাইতো হেরাথ টেনে এনেছেন বিশ্বকাপকে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ভারতের মতো ইংলিশরাও কি রানের পাহাড় গড়বে? শ্রীলঙ্কান এই স্পিন কিংবদন্তীর উত্তর, ‘সবশেষ সিরিজের উইকেটটা থেকে এই উইকেটটা ভিন্নতর হবে বলে মনে হচ্ছে। তেমন কিছু হবে না আশা করি। আমরাও আমাদের দলের সেরা পারফর্ম্যান্সটা পেতে পরিশ্রম করছি।’
ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে বছর শেষ হলেও বিশ্বকাপের বছর শুরু হলো ওয়ানডে সিরিজে হার দিয়ে। সবচেয়ে বড় বিষয় টপ অর্ডার-মিডল অর্ডার নিয়মিত রান করতে পারছে না। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা রানের দেখা পাচ্ছেন না। কোচ যতই আশা-ভরসার কথা বলুক না কেন, মাঠের ক্রিকেটের রং না বদলালে বিশ্বকাপে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখায় লাগাম টানতে হবে।