বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতিক বলেছেন, যত পারেন পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করেন। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রফতানি করতে উৎসাহী হবে। মেলা হলে উদ্যোক্তারা লাভবান হবে। অনেক উদ্যোক্তাই দেশের বাইরে যেতে পারে না। মেলা হলে তারা লাভবান হবে।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলস্থ করিম চেম্বারে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জেডেপিসির নির্বাহী পরিচালক রেখা রাণী বালোর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ।
মন্ত্রী বলেন, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে। সে লক্ষ্যে, উদ্যোক্তারা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন- যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার-প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করার কাজ চলমান। এসব মেলা পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে বেশি যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হবে। এক্সপো-২০২০ দুবাইসহ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য মেলায় বহুমুখী পাটপণ্যের প্রতি মানুষের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পাটখাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতটি অসামান্য অবদান রাখছে। যদিও কালের পরিক্রমায় কৃত্রিম তন্তু (পলিথিন)-এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের চলমান পৃষ্ঠপোষকতার কারণে পাটখাতের হৃত ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধশালী করা সক্ষম হয়েছে।
করিম চেম্বারে চলমান পাঁচদিনের এই প্রদর্শণী শেষ হবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। এবার মেলায় ৩৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তারা বহুমুখী পাটপণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তারা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। প্রদর্শনী পাটের প্রায় সব পণ্য রয়েছে।