তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ‘সরকারি দলের কারণে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রূপগঞ্জের রূপসী খন্দকার বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ অভিযোগ করেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী।
তৈমূর বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। সরকারি দল কর্তৃক এটা বিঘ্নিত হচ্ছে। জাতীয় পার্টি সরকারের সাথে জোট বেঁধেছে। নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছে সরকারকে চাপ দিয়ে। আমরা মাটি কামড়ে হলেও নির্বাচনী মাঠে থাকবো। আমরা নির্বাচন চালিয়ে যাব এবং বিশ্ববাসীর কাছে সরকারের আচরণ তুলে ধরব। আমার নির্বাচনে যা যা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হবে তা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরব।
তিনি বলেন, পত্রিকায় এসেছে ‘বিএনপির লোকজনের হাত-পা ভেঙে পুলিশে দেবেন’, এটা কে বলেছে; আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিমউদ্দীন বলেছে। দেশব্যাপী সরকারি দলের প্রার্থীদের এসব কর্মকাণ্ড চলছে। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। আমরা বারবার অভিযোগ করেছি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য। কিন্তু সেই অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। মঙ্গলবার বিদেশি পিস্তলসহ গাজী সাহেবের (পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী) এক সমর্থক আটক হয়েছে। সরকার তার দলীয় লোক থেকে অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থ হয় তাহলে সাধারণ মানুষের ভয় কাটবে না। এজন্য অস্ত্র উদ্ধার করা দরকার, পাশাপাশি যারা বিএনপিকে হুমকি দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
তৈমূর আরও বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তার কর্মসূচি সাংবিধানিক ভাবে হলে থ্রেট দেওয়া উচিত না। দেশে তো আইনকানুন আছে। যারা অতিউৎসাহী হয়ে এ ধরণের কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিন।
গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেন, গাজী সাহেব অস্ত্র নিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তার প্রতিটি মিছিলে অস্ত্রধারীরা থাকে। কেন্দ্রেও এই অস্ত্রধারীরা থাকবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করতে চাই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচনে থাকবেন কী থাকবেন না এটা নিয়ে আশংকা করেছে। সরকার আমাদের সাথে যে কমিটমেন্ট করেছে এটার শেষ আমরা দেখে ছাড়বো। শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে।