নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে বহু রিসোর্ট ও ট্যুরিজম রয়েছেন। এ সকল রিসোর্ট গুলোতে কাউকে একোমোডেশন দেওয়ার আগে অবশ্যই তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে নিবেন।
কার বউ কে নিচ্ছে, কোন হিসেবে নিচ্ছে এগুলো যেন অবশ্যই আমরা জাস্টিফাই করি। কারণ সম্প্রতি কিছু ঘটনা আমাদের নারায়ণগঞ্জ ঘটেছে। যেটি সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্ট এ ঘটেছিল। তার জন্য কিন্তু আমাদের নারায়ণগঞ্জের অনেক দুর্নাম হয়েছিল।
সেটি রয়েল রিসোর্ট এর কোন দোষ ছিলনা। যিনি পর্যটক হিসেবে এসেছিলেন তিনি ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে রিসোর্ট গুলো অবশ্যই এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করবেন।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে “অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন। এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবসের খুব সূচনা করা হয়।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। নারায়ণগঞ্জে বহু ট্যুরিজম রয়েছেন। এসকল ট্যুরিজম কে আমাদের সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
আমাদের প্রত্যাশা আপনারা যারা রিসোর্ট ও বিভিন্ন বিনোদন পার্ক ব্যবসার সাথে জড়িত তারা আমাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিবেন এবং আমরাও আপনাদের কাছ থেকে সহযোগিতা চাই।
যাতে করে ট্যুরিজম তো এগিয়ে যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্বপ্নের সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে পারি। সেটি যদি করতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে সম্ভব হবে।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শামীম বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসকের ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মতিন, জেলা তথ্য অফিসার সিরাজদ্দৌলা, জেলা কালচারাল অফিসার রুনা লায়লা, চৌরঙ্গী ফ্যান্টাসি পার্কের এমডি কাজী আবদুস সাত্তার, সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টের পাবলিক রিলেশন অফিসার জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন রিসোর্ট ও পার্কের মালিকও কর্মকর্তাগণ। পরে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।