রুদ্রবার্তা২৪.নেট: সমিতির কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সম্মিলিত সঞ্চয় তহবিলের পরিচালক রমজান আলীর বিরুদ্ধে আবারও বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ’ গ্রাহক। উত্তেজিত গ্রাহকরা রমজানের বাড়ি ঘেরাও করে তাকে না পেয়ে জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে। ঘন্টাব্যাপী আগুন জ্বালিয়ে জিমখানা-বাবুরাইল সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল তারা।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) দুপুর তিনটায় নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বউবাজার এলাকায় সম্মিলিত সঞ্চয় তহবিলের পুরোনো কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন কয়েকশ’ গ্রাহক। তাদের অভিযোগ, অন্তত আড়াই হাজার গ্রাহকের প্রায় ১০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা রমজান আলী। টাকা ফেরত পেতে এক বছর যাবৎ বিক্ষোভ, সমাবেশ করেছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রভাবশালী লোকজন থেকে শুরু করে পুলিশ-প্রশাসনের শরনাপন্ন হয়েছেন। তবে কোনো সমাধান পাননি। অবিলম্বে টাকা ফেরত পেতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন তারা।
বউবাজার এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিক্ষুব্দ গ্রাহকরা পার্শ্ববর্তী তারা মসজিদ এলাকায় রমজান আলীর বাড়ি ঘেরাও করে। বাড়িতে রমজানের দেখা না পেয়ে ভবনের কয়েকটি জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে জিমখানা-বাবুরাইল সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এতে ঘন্টাব্যাপী ওই সড়কে যান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে কমলা বেগম বলেন, তার ও তার বোন আমিনার ৮০ হাজার টাকা জমা করেছিলেন সমিতিতে। পোশাক কর্মী কমলা প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে জমা করতেন। প্রায় এক বছরের টাকা জমেছিল তার। সেই টাকা নিয়ে লাপাত্তা সমিতির পরিচালক ও মালিক রমজান আলী। তিনি বলেন, ‘আমি আমার মূল টাকা ফেরত চাই। কোনো লাভ বা সুদ লাগবো না। এই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য এক বছর যাবৎ ঘুইরা মরতাছি। আমার রক্ত পানি করা টাকা মাইরা খাইছে রমজান। এই জগতে মুক্তি পাইলেও পরকালে তার শাস্তি পাইতেই হইবো।’
সম্মিলিত সঞ্চয় তহবিলের ম্যানেজার শিপলু বলেন, করোনাকালীন সময়ে সমিতির টাকা নিয়ে সংকটে পড়তে হয়। পরে সমিতির মালিক রমজান আলী টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। তাকে বারবার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও তিনি তা ফেরত দেননি। তাকে না পেয়ে লোকজন আমাকে হয়রানি করতেছে। আমি তো ওই সমিতির মালিক না। বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলাম মাত্র।
তবে এই বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত রমজান আলীকে তার বাসায় গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তারাও বাসার দরজা খোলেননি।