রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার দেশে যে কাজ করছে তা সারাবিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকার যে কাজগুলো করছে সেটা সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একটি মহল কিন্তু বসে নাই। অসম্ভবভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। কীভাবে এই সরকারকে ছোট-খাটো করা যায়, সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা যায়, সেই চেষ্টা করছে। আমাদের সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে দেওভোগে মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে জেলা পরিষদের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)।
আইভী আরও বলেন, ‘২০২৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পুনরায় আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন এই ষড়যন্ত্রকে ছিন্ন করে আমরা এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবো। উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের এ সরকারকে প্রয়োজন। এটার জন্য আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন সেখানে থেকে আমরা সরকারের ভালো কাজগুলো তুলে ধরবো।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা সবসময় আমার পাশে ছিল। ২০১১ সালে কঠিন মুহুর্তে সর্বপ্রথম মুক্তিযোদ্ধারা আমাকে নিয়ে মাঠে নেমেছিল। আমি এই কথা কোনো দিনও ভুলবো না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনে রাখবো। আপনাদের প্রতি সম্মান-শ্রদ্ধা আমার ভিতরে লালিত হবে। ২০১৬ সালেও তাই করেছিলেন, ২০২২ সালেও আমি প্রথম প্রচারণা করেছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে। আপনাদের সাথে আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক আছে, একটা হৃদয়ের বন্ধন আছে।’
সিটি মেয়র বলেন, ‘এই সরকার স্বাধীনতার সপরে শক্তি। এই সরকার আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এমন কোনো সেক্টর নাই যারা কম-বেশি লাভবান হচ্ছে না। সেটা নারী মতা থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ প্রচুর কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রচারটা একটু কম বলে আমরা অনেক সময় বলি যে, সরকার কী করছে? সরকার বহু কিছু করেছে। সেগুলো তুলে ধরতে হবে। সরকার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে তাদের কবর বাঁধাই করছে।’
ছিনতাই বেড়ে গেছে জানিয়ে জেলা পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান সিটি মেয়র। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এমন আয়োজন করায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে ধন্যবাদ জানান।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ছিলেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা পরিষদের নর্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এসএম মাহমুদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদা। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত প্রমুখ।
এই সময় জেলার ১৬১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্বরূপ ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।