শ্রীলঙ্কায় লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) মাঠে নেমে ফিফটি পেয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়। জাফনা কিংসের হয়ে এলপিএলের চতুর্থ আসরে খেলছেন তাওহীদ। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৩৯ বলে ৫৪ রান করেছেন ৪ চার ও ১ ছক্কায়।
১৩৮.৪৬ স্ক্রাইটরেটে সাজানো ইনিংসটি ছিল জাফনা কিংসের দলের সর্বোচ্চ। তাওহীদের ৫৪ রানের ওপর ভর করে আগে ব্যাটিং করতে নেমে জাফনা কিংস, কলম্বো স্ট্রাইকার্সের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান করে।
তাওহীদের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন দুনিশ ওয়েলাগে। এছাড়া প্রিয়মল পারেরা ২২ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। শেষ দিকে জাফনার অধিনায়ক থিসারা পেরেরার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১৪ রান।
এলপিএলে এবার প্রথমবার খেলতে গেছেন তাওহীদ। দেশের বাইরে প্রথম খেলছেন ফ্রাঞ্চাইজি লিগ। কিছুটা চাপ অনুভব করার কথা। কিন্তু ব্যাটিংয়ে পড়েনি নেই ছাপ। ৩৭ বলে পেয়েছেন ফিফটি। পাথিরানার বল এগিয়ে এসে কভারের ওপর দিয়ে চার মেরে ৪৬ থেকে পঞ্চাশ রানে পৌঁছান এ ব্যাটসম্যান।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার। স্পিনার লাকশান সানদাকানকে স্লগ সুইপে ছক্কা মারার আগে চামিরা করুনারত্মকে পরপর দুটি চার হাঁকান। প্রথমটি ডিপ ফাইন লেগ দিয়ে আলতো টোকায়। পরেরটি পুল করে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে।
মাঠের খেলায় পূর্ণ মনোযোগ ছিল তাওহীদের। ১৬ তম ওভারে বৃত্তের ভেতরে মাত্র তিনজন ফিল্ডার থাকায় আম্পায়ারের কাছে নো বলের আবেদন করেন। আম্পায়ার তাৎক্ষণিক নো বল কল করে। তাতে বাড়তি ১ রান পেয়ে যায় তার দল জাফনা কিংস।
১৯ তম ওভারে তাকে থামান পেসার করুণারত্নে। ডানহাতি পেসারের স্লোয়ার বল লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন নাসিম শাহর হাতের মুঠোয়।
জাফনা কিংসের হয়ে অনেকেই ভালো শুরু পেলেও কেউ ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাওহীদ দলের হয়ে সেই কাজটাই করেছেন। রান তুলেছেন, বাউন্ডারি পেয়েছেন। তাতে দলের স্কোর বড় হয়েছে। যা করার জন্য উইকেট বিবেচনায় যথেষ্ট।