দীর্ঘ ৩০ বছর পর আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আর এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের শেষ সময়ের গণসংযোগ আর প্রচার-প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লা।
নির্বাচন যতো এগিয়ে আসছে ততোই ফতুল্লা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের রাস্তা-ঘাট, হাটবাজার ও অলিগলি প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে যাচ্ছে। প্রার্থীরা উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, মিছিল, গণসংযোগে অংশ নিয়ে ভোটারদের কাছে নিজেদের জাহির করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তবে সাধারণ ভোটারদের চাওয়া সংঘাত এড়িয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে যোগ্য প্রার্থীকে ভোটের মাধ্যমে বেছে নিতে চান তারা।
ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলনের দলীয় প্রার্থীসহ মোট চার জন। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে ৯৯ জন সাধারণ সদস্য (মেম্বার) প্রার্থীসহ আরো ২৫ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য (নারী মেম্বার) প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলী (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আজম (ঘোড়া), কাজী দেলোয়ার হোসেন (আনারস)।
সরজমিন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা পুরোদমে শুরু করেছেন নির্বাচনী প্রচারণা। নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর তৃণমূল নেতাকর্মী ও ভোটারদের মধ্যেও বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। নির্বাচনের কারণে ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তায় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত নারী মেম্বারদের ছবি ও তাদের প্রতীক সম্বলিত পোস্টার ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া টানানো হয়েছে ব্যানার। রাত পোহালেই মাইকে বিভিন্ন গান বাজনার মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীদের সমর্থকরা।
ভোটাররা জানান, ইউনিয়ন তথাপি এলাকার উন্নয়নে যিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন এবং গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে থাকবেন তেমন প্রার্থীকেই বেছে নেওয়ার ইচ্ছা তাদের।
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬১ হাজার ৯৪৫ জন এবং মহিলা ভোটার ৬১ হাজার ৭০২ জন। এবার ৯টি ওয়ার্ডে ৪৫ টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।