‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন ও অর্জন দেখলে বিএনপির গাত্রদাহ হয়। যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ১৯ বারের মতো বাংলায় ভাষণ দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করে, সেরা রাষ্ট্রপ্রধান হয়, বিএনপির নতুন করে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। বিএনপি ও তাদের দোসরদের যে কোন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশে ও প্রবাসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সর্বদা প্রস্তুত। বিএনপি যদি আবারও ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো সহিংস ও জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করে এবং কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করে তাহলে তাদের প্রতিহত করা হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র সময় বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ও বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যার্লিফোনিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের উদ্যোগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে, প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, টানা ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও বিএনপির ওপর অত্যাচার নির্যাতন হয় নাই। আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। দুঃশাসন বলতে যা বুঝায় সেটা বিএনপির আমলেই বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে। এদেশের মানুষ তা ভোলে নাই। বিএনপি নেতাদের দুঃশাসনের কথা বলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত। দেশের মানুষ বিএনপির সেই অপশাসন ও দুঃশাসনে আর ফিরে যেতে চায় না। জনগণ এখন বুঝে গেছে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিই বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন গণধিকৃত দলে পরিণত হয়েছে। আর কানাডার আদালতেও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া বিএনপির মুখে বড় বড় কথা শোভা পায় না। রাজপথ, আন্দোলন ও নির্বাচন সবকিছু তেই ব্যর্থ বিএনপি নিজেরাই নানা সমস্যায় নিমজ্জিত। বিএনপিকে এখনই হয়ে যেতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে নামলে বিএনপি পালাবার পথ পাবে না।
উপমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি এখন মরিয়া। তারা গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার নানামুখী ষড়যন্ত্রের নীল নকশা করছে। নির্বাচনে অংশ না নেওয়া, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, নির্বাচন কমিশন ও গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিকরণে অনিহা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত থাকা সেই নীলনকশারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
এনামুল হক শামীম বলেন, প্রবাসীরা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির ভীতকে মজবুত করে বৈদেশিক রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। এমনকি করোনার মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের জন্য কাজ করে চলছেন। সুতরাং বিএনপির দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র প্রবাসীরা কখনো মেনে নেবে না। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আর সেই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, কোনো লাভ নেই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো আবারও ক্ষমতায় আসবেন।
ক্যার্লিফোনিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মেজবাউর রহমান রতন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লস্কর আল মামুনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।