শীতলক্ষ্যার তীরে দ্বিতীয় দিনের মত উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় নদীর পূর্ব তীরে দ্বিতীয় দিনের মতো এই অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময় নদীর জায়গা দখলের অভিযোগে দুইটি চারতলা ভবন, আটটি পাকা ও আধা পাকা স্থাপনা, ছয়টি টিনশেড ঘর ও তিনটি বাঁশের জেটিসহ ২১টি অবৈধ স্থাপনা এক্সকেভেটর দিয়ে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
এছাড়া নদীতে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অপরাধে দুই ব্যক্তিকে ৭ দিন করে কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। আইন শৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত এই উচ্ছেদ অভিযানে বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মারুফ বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে নদী দখল মুজত করতে আমরা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহিত রেখেছি। নদী পুরোপুরি দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ জানান, গত কয়েক মাসে পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে ইতিমধ্যে দুই শতাধিক উচ্ছেদ করা হয়েছে। পাশাপাশি নদী রক্ষায় সীমানা পিলার স্থাপনসহ ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজও চলমান রয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার (২৬ জুলাই) কাঁচপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী দখলের অভিযোগে ২৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।