নারায়ণগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণকাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তোফাজ্জল হোসেন। সোমবার (২৩ মে) সকালে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা জানান।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরও মামলাসহ নানা জটিলতায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি। তবে শীঘ্রই এই কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তোফাজ্জল হোসেন। সোমবার (২৩ মে) সকালে মন্ডলপাড়া
প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এই কথা জানান।
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, প্রকল্প কাজের জন্য এই স্থান নির্ধারিত ছিল। জমির পরিমাপ আগেই হয়ে গিয়েছে। তারপরও আজকে এসে দৈর্ঘ্য-প্রস্থে কতটুকু আছে তা দেখা হলো। এখানে ৪শ’-৫শ’ বছরের স্থাপনা আছে, ওয়াকফ্ স্টেট রয়েছে। এ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, সমন্বয় করতে পেরেছি। দীর্ঘদিনের এই স্থাপনা নষ্ট না করেই মডের মসজিদের কাজ করা হবে। শীঘ্রই জেলা মডেল মসজিদের কাজ শুরু হবে।
নগরীর মন্ডলপাড়া এলাকায় নির্মিত হবে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক জাকির হোসাইন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত ফেরদৌস, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও ১৬, ১৭, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আফসানা আফরোজ বিভা, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিয়াদ আহমেদ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের উপস্থিতিতে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে পরিমাপ করা হয়। প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত পুরোনো মসজিদ কমিটির লোকজনের সাথেও কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। পরে তাদের সম্মতিতেই পরিমাপ সম্পন্ন করে শীঘ্রই নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা জানান।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার চারতলা ভবন ও চারতলা ফাউন্ডেশন দেওয়া হবে। এখানে কয়েক হাজার নারী, পুরুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। চলতি বছরেই এ মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হবে। এখানে নিচের তলায় হবে ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজের স্থান, লাশ গোসলের স্থান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বই ও পাঠাগার থাকবে। প্রথম তলায় প্রধান নামাজের স্থান ও অজুখানা থাকবে। দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ও নারীদের জন্য নামাজের স্থান, সভা কক্ষ ও অজুখানা।
তৃতীয় তলায় শুধু নারীদের জন্য নামাজের স্থান, হেফজখানা, ইমাম, শিক্ষক, খাদেম ও অতিথিদের জন্য রুম ও নারীদের অজুখানা। আর মসজিদটির জন্য ২০০ কেভিএ সাব স্টেশনের যন্ত্রাংশ, একটি ৪০ কেভিএ জেনারেটর, ৭৫টন এসি, সিসিটিভি, সোলার, বিএইচপি পাম্প মোটর থাকবে।