নাটোরের বাগাতিপাড়ায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে একই ওয়ার্ডে শাশুড়ির সঙ্গে ভোট যুদ্ধে পুত্রবধূ বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে অপর একটি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ননদকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ভাবি।
রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জামনগর ইউনিয়ন এবং পাঁকা ইউনিয়নে একই ওয়ার্ডে বউ-শাশুড়ি এবং ননদ-ভাবির প্রতিদ্বন্দ্বিতা কৌতূহলী ভোটারদের আলাদাভাবে নজর কাড়ে।
জানা গেছে, উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বউমা শামীমা খাতুন টিনা সূর্যমূখী ফুল প্রতীক এবং চাচি শাশুড়ি সাজেদা খাতুন তালগাছ প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছিলেন। নির্বাচনে শামীমা খাতুন টিনা ৩ হাজার ২৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। শাশুড়ি সাজেদা খাতুন পেয়েছেন ৯৫৪ ভোট পেয়ে তিন প্রার্থীর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। অপর প্রার্থী মাবিয়া খাতুন কলম প্রতীকে ১২৭৭ ভোট পেয়েছেন।
শাশুড়ি সাজেদা খাতুন জামনগর গ্রামের কলেজ শিক্ষক আব্দুল জলিলের স্ত্রী এবং বউমা শামীমা খাতুন টিনা একই এলাকার সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। তারা দুজনই ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দায় এবং একই ভিটায় বাস করেন।
অপরদিকে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ননদের সাথে ভোটযুদ্ধে ভাবি শিলা খাতুন কলম প্রতীকে ১ হাজার ৪১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপা খাতুন মাইক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ২৩৩ ভোট। ননদ-ভাবিসহ ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে নির্বাচনী দৌড়ে ননদ লাইলী বেগম বক প্রতীক নিয়ে ভাবির তুলনায় খুব কম সংখ্যক ভোট পেয়েছেন।
ননদ লাইলী বেগম সালাইনগর গ্রামের আশকান আলীর স্ত্রী এবং শিলা খাতুন তার খালাতো ভাই সুমন আলীর স্ত্রী। তারা দুজনই ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করেন।
তবে ওই একই ওয়ার্ডে অপর দুই প্রার্থী দুই চাচাত ভাইয়ের বউ লড়াই করে পরাজিত হয়েছেন। একই ওয়ার্ডে ননদ-ভাবি ও দুই জায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ঘিরে ভোটারদের বাড়তি নজর কাড়ে।