বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, আজ ২৫ বছর পর এখানে সম্মেলন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তেও নারায়ণগঞ্জের অনেক অবদানের কথা রয়েছে। এ সোনারগাঁ উপজেলার ওপর দিয়েই দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চলে গিয়েছে। আজ আমরা আনন্দিত যে এখানে সম্মেলন হচ্ছে। এ সোনারগাঁ উপজেলার মানুষ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে মীর্জা আজম এসব কথা বলেন। সোনারগাঁ আমিনপুর শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই।
মির্জা আজম বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় না যায় তাহলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে খুনি জিয়ার পুত্র তারেক। সে প্রধানমন্ত্রী হলে আমাদের কি অবস্থা হবে? আজ থেকে ১৩ বছর আগে আমরা ভিক্ষুকের জাতি ছিলাম। আজ আমরা মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছি। আমাদের অর্থবিত্তে পরিবর্তন এসেছে। আগামীতে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসলে ২০০১ সালের চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে। আপনারা জানেন ২০০১ সালের পরে আমাদের শামীম ওসমানের মতো জননেতা দেশে থাকতে পারেনি। আমাদের অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। শামীম ওসমানরা দেশে থাকলে তাদেরও একই পরিণতি হতো।
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা সবাই অর্থবিত্তে পরিপূর্ণ। একবার ভাবুন তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে কি হবে? আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। এ সাংগঠনিক সক্ষমতার মাধ্যমে আমরা সোনারগাঁ থেকে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করব। আমরা নেত্রীকে জানাবো সোনারগাঁয়ের মানুষের প্রত্যাশা। আগামী নির্বাচনে যেন এখান থেকে নৌকার প্রার্থী দেওয়া হয়। তবে আপনারা কিন্তু ভেদাভেদ সৃষ্টি করে নৌকা ডুবিয়ে দেওয়ার ইতিহাস আছে। তাই বলি সে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন। আমাদের নতুন ট্রেডিশন শুরু হয়েছে পদ বানিজ্য, মনোনয়ন বানিজ্য। এগুলো করলে দেখবেন শেখ হাসিনার সবে অর্জন বিনষ্ট হয়ে গেছে। তিনি সব দিকে উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কিছু কর্মীর কারণে সব অর্জন নষ্ট হয়ে যায়।
উক্ত সম্মেলনে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস এমপি, আওয়ামী লীগের কার্যকারী পরিষদের সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. নজিবুল্লা হিরু, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেষ বিষয়ক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এড. সানজিদা খানম, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সাঈদ খোকন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতিক, এনসিসি মেয়র ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, নারায়লগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যক্ষ ডা. শিরিন বেগম।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল (ভিপি বাদল)।