সিদ্ধিরগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে মো: রুবেল নিহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে প্রধান আাসামি করে ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩০০ জনকে অজ্ঞাত নামে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরাাগে গত সোমবার (২৬ আগস্ট) নিহতের স্ত্রী রুপালী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও ৩০০ জনকে অজ্ঞাত করে আসামি করা হয়।
মামলার অন্যতম আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক শাহ নিজাম, মরহুম নাসিম ওসমানের ছেরে আজমেরী ওসমান, শামীম ওমানের ছেলে অয়ন ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, গোদনাইল ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফ, কিশোরগ্যাং লিডার ও মাদকের ডিলার পানি আক্তার, যুবলীগ নেতা পেটকাটা মানিক, ইপিজেড নিয়ন্ত্রনকারী মামুন ওরফে ভাগিনা মামুন, রাজু আহম্মেদ পিতা আব্দুর রশিদ সস্তাপুর, ফতুল্লা, নাসিক ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর উদ্দিন মিয়া, বাংলাদেশ আন্ত: জিলা ট্রাক-চালক ইউনিয়ন শিমরাইল শাখার সভাপতি নুরুজ্জামান জজ মিয়া, নূরসালাম, নূরুল হক উভয় পিতা মৃত বদরউদ্দিন টেকপাড়া শিমরাইল, মোঃ রহমত উল্লাহ পিতা মোঃ মোতালেব মিজমিজি পশ্চিম পাড়া (বড় বাড়ি), কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম, প্যানেল মেয়র-২ ও থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, মোঃ আলী পিতা আফিরউদ্দিন টেকপাড়া শিমরাইল, লোকমান পিতা লৎফর রমমান বাঘমাড়া সানারপাড়, জামান মিয়া পিতা আঃ মান্নান শান্তিধারা ভূইগড় ফতুল্লা, মিজানুর রহমান দিপ্তি পিতা মৃত মোস্তফা দক্ষিন কদমতলী, আব্দুল হাই মেম্বার পিতা মাইনউদ্দিন ওয়াবদা কলোনী, মাহমুদুল হাসান পিতা আব্দুল হাই মেম্বার ওয়াবদা কলোনী, মোঃ খোরশেদ (সভাপতি ৭ নং ওয়ার্ড তাতীলীগ), গোদনাইল নয়াপাড়া, আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের সভাপতি চাঁদাবাজ সামাদ বেপারী ওরফে লেতুর সামাদ, হাবিবুল্লাহ হবুল পিতা আহসান উল্লাহ, রাজু পিতা মরহুম হুমায়ুন কবির কদমতলী, তানজিম কবির সজু পিতা মরহুম হুমায়ুন কবির কদমতলী, মতিউর রহমান সাগর পিতা আতাউর রহমান কলাবাগ পূর্বপাড়া, মাহবুবুর রহমান পিতা বাদশা মিয়া আইলপাড়া, আহম্মেদ কায়সার নিতাইগঞ্জ মাইজপাড়া নারায়নগঞ্জ, সাহরিয়ার বাপ্পি পিতা আঃ রহমান, সিমান্ত পিতা সফিকুল ইসলাম মিজমিজি আব্দুল আলী পুল, বিপ্লব পিতা সফি ড্রাইভার মিজমিজি মদিনা মসজিদ, সাইদ হাসান মুন্না পিতা মৃত নাজমুল হাসান মিজমিজি দক্ষিন পাড়া, জয়নাল আবেদিন কলার ফারুক পিতা নূরুল হক মিজমিজি বটতলা, ফয়েজ মজুমদার পিতা রুস্তম আলী মজুমধার মিজমিজি পশ্চিম পাড়া, বাসেদ মিজমিজি সাহেব পাড়া, কামরুল পিতা আবুল হোসেন মিজমিজি পশ্চিমপাড়া, আসলাম মিজমিজি সাহেব পাড়া, রবিউল পিতা কাজিমুল হক মিজমিজি পশ্চিম পাড়া, জামাল মিয়া পিতা মোহর আলী উরফে মরইন্যা মিজমিজি বড় বাড়ী, দেলোয়ার পিতা ওয়াজেদ উদ্দিন মিজমিজি কান্দাপাড়া, নুরুলউদ্দিন নুরু পিতা মৃত আঃ করিমউদ্দিন মিজিমিজি কান্দাপাড়া, মতিন পাগলা পিতা মৃত দবু মোহাম্মদ মিজমিজি পশ্চিম পাড়া মাদ্রাসারোড, জাহিদুল ইসলাম সুজন পিতা আঃ বাড়ী মিজমিজি সাহেব পাড়া, আনোয়ার হেসেন আনার মিজমিজি বসু মার্কেট, নূরুল ইসলাম পিতা মৃত ছমির উদ্দিন মিজমিজি মাদ্রাসা রাড, ইয়াছিন আরাফাত রাসেল পিতা আব্দুল মোতালেব মিজমিজি পশ্চিম পাড়া, মীর শহিদুল আলম পিতা মীর মোহাম্মদ আলী, মীর মাকসুদুল হোসেন মুন্না পিতা মীর মোশারফ হোসেন, দেলপাড়া কুতুবপুর ফতুল্লা, মেহেদী, আনোয়ার হোসেন আশিক পিতা জহির উদ্দিন ভূইয়া চৌধুরীপাড়া মিজমিজি, জিসান পিতা আঃ রহমান সানারপাড়, স্বপন পিতা কুদ্দুস মোল্লা রসুল বাগ, সফিকুল ইসলাম পিতা শহিদুল ইসলাম মিজমিজি পশ্চিমপাড়া, কাউন্সিলর ইফতেখার হোসেন খোকন, কাজী আমির পিতাকাজী হাবিবুর রহমান হবি গোদনাইল, মোঃ জালাল উদ্দিন পিতা ছনুরদ্দি, সহিদ হাসান বিটু পিতা সিরাজুল ইসলাম আটি, মোঃ রনি পিতা মৃত দেলোয়ার হোসেন (ধলু) কদমতলী গ্যাস লাইন, বালু শাহজাহান কদমতলী, বাবু পিতা-মতিউর রহমান মতি আইলপাড়া আদমজী, সালাউদ্দিন আটি, মোঃ পাপ্পু মিজমিজি কান্দাপাড়া, টুটুল পিতা মৃত আমির হোসেন মিজমিজি কান্দাপাড়া। এছাড়াও আরো ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত নামে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী রুপালী এজহারে উল্লেখ করেন, গত ২১ জুলাই সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আসামি ও তাদের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালালে নিজ দোকানে থেকে বাসায় আসার সময় গুলিবিদ্ধ হন মো: রুবেল।
স্থানীয় লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা চিকিৎসককে আহত রুবেলকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলে। ঢামেকে যাওয়ার পথে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তখন এক দল লোক এসে আমাদেরকে দ্রুত লাশ দাফন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন, তখন ভয়ে স্বজনরা তাড়াতাড়ি লাশ নিয়ে বাড়িতে যান। ২২ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে রুবেলকে দাফন করা হয়।