দল ঘোষণার পর আফগানিস্তানের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন রশিদ খান
শরীয়তপুরের চারটি উপজেলার দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ এবং ৫৮টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের মাঠ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিলেও এসব বিদ্যালয় খোলা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, শরীয়তপুর সদর এবং আশপাশের চারটি উপজেলার ৫৫টি বিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে।
পানির নিচে থাকা বিদ্যালয়গুলির মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলার চারটি, জাজিরা উপজেলার ১৯টি, নড়িয়া উপজেলার ২৮টি এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার চারটি বিদ্যালয়।
এছাড়া নড়িয়া উপজেলার পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরজপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই দুইটি বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সরকারি সিন্ধান্ত অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ওই সব প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে চিন্তায় রয়েছি। তবে আশার খবর হল দুইতিন দিন যাবৎ পানি কমতে শুরু করেছে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পানি নেমে যায় তাহলে ওই প্রাথমিক স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এমারত হোসেন মিয়া বলেন, ‘জেলার জাজিরা একটি ও নড়িয়া উপজেলার দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আশা করা যায়, ১২ তারিখের মধ্যে পানি কমে যাবে। আমাদের সম্পূর্ণ স্কুল খোলার প্রস্তুতি রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গেয়ে দেখা গেছে, জাজিরা, নড়িয়া ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে বন্যার পানি উঠেছে। ভেদরগঞ্জ কাঁচিকাটা ইউনিয়নের মাথা ভাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ও আশেপাশ পানিতে প্লাবিত।