স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হলেও সড়কপথে শরীয়তপুরবাসীর যাতায়াতে দুর্ভোগ কমেনি। বরং বহুগুণ বেড়েছে। ‘শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস’ নামে একটি সিন্ডিকেট অন্য কোনো কোম্পানির বাস শরীয়তপুরে চলতে দিচ্ছে না। অন্যরা বাস নামালে তাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এমনটি সরকারি বাস সার্ভিস বিআরটিসির বাসও চলতে দেওয়া হচ্ছে না। এরই মধ্যে বিআরটিসি বাসে দুই দফা ভাংচুর ও বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিন্ডিকেট পরিচালিত জেলা বাস মালিক গ্রুপের ‘শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস’ অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় করছে। এতে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এক দিকে বাস সংকট, ফোরলেন না হওয়া এবং রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা। অন্য দিকে চলছে শরীয়তপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের স্বেচ্ছাচারিতা। তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোম্পানির গাড়ি চলতে না দেওয়া ও বিআরটিসিসহ অন্য বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
বাস মালিক গ্রুপের লাইন সেক্রেটারি বিল্লাল তালুকদার ও শরীয়তপুর পরিবহণের পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বিআরটিসি, পদ্মা ট্রাভেলস লিমিটেড ও জেলা বাস মালিক গ্রুপ ১৭টি পরিবহণের ‘শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস লিমিটেড’সহ বিভিন্ন কোম্পানি শরীয়তপুর-ঢাকা বাস সার্ভিস চালু করে। কিন্তু শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস ছাড়া অন্যসব কোম্পানির গাড়ি চালাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
২৬ জুন যাত্রী নিয়ে বিআরটিসির একটি বাস শরীয়তপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাসটি আটকে রেখে ভাংচুর করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসক বাস মালিক সমিতির নেতাদের নিয়ে সভা করেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়-বিআরটিসির আটটি বাস ঢাকা-শরীয়তপুরের উপজেলা শহরে চলবে এবং শরীয়তপুর শহর থেকে যাত্রী নিতে পারবে না। আগামী একমাস পরীক্ষামূলকভাবে এ বাস চলবে। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা দিয়ে বিআরটিসির গোসাইরহাটগামী একটি বাস যাওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয়। বাসটি থেকে যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয়।