শরীয়তপুরে এবার টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি নেই। ঘন কুয়াশা, বৃষ্টি, দাম কম সবকিছু মিলে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
জানা গেছে, গত বছর প্রতি কেজি টমেটো ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হলেও এবার তা ৮-১৩ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জেলায় এবার বিষমুক্ত টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে কৃষি অফিস। কিন্তু এতে যেমন খরচ বেড়েছে তেমনিভাবে বাড়েনি দাম। তাইতো চাষিদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
চাষিরা বলছেন, চলতি বছর ঘন কুয়াশা, অসময়ে বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে টমেটো চাষে প্রভাব পড়েছে। তারপরও জেলায় টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। বৃষ্টির কারণে টমেটোতে কালচে দাগ পড়ছে এবং গাছও মারা যাচ্ছে। এজন্য প্রতি ১৫ দিন পর পর কীটনাশক দিতে হচ্ছে। তবে কৃষি বিভাগের দাবি, পচন রোগ ও গাছ মরা রোধে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, শরীয়তপুরে এবার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। গত বছর ১ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ করে ৩১ হাজার ৫২১ মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদন হয়। এবার জেলার জাজিরা উপজেলায় ৩৮০ হেক্টর, ভেদরগঞ্জে ২২০, সদরে ৬৫, নড়িয়ায় ৯৫, ডামুড্যায় ২০, গোসাইরহাটে ৮৫ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ করা হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৭৪৫ মেট্রেক টন।
সেনেরচর এলাকার চাষি আনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের সঙ্গে কথা বলে আমরা বিষমুক্ত টমেটো চাষ করেছি। এতে করে ফলন বেশি হয়। কিন্তু সময় একটু বেশি লাগে। চারা থেকে উৎপাদন করা পর্যন্ত প্রায় কেজি প্রতি ১৫ টাকা ১৭ টাকা পড়ে যাচ্ছে। এর পর জমি থেকে উত্তোলন, বাজারজাতে আরও ৫-৭ টাকা খরচ পড়ছে। অথচ বিক্রি করে পাচ্ছি মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকা।
জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জামাল হোসেন বলেন, আমরা এবার চাষিদের বিষমুক্ত টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ করেছি। প্রাকৃতিক উপায়ে টমেটো চাষ করায় লাভবান হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।