শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়নে বাবার সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে রাজিয়া বেগম (৩৫) নামে তিন সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলে পিয়াল বালার বিরুদ্ধে।
পিয়াল বালা একই ইউনিয়নের ফারুক বালার ছেলে। নিহত রাজিয়া ওই গ্রামের বাসিন্দা জাকির মোল্যার স্ত্রী। পিয়ালের বাবা ফারুক বালার সঙ্গে রাজিয়া বেগমের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে রাজিয়া বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করে পিয়াল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চরসেনসাস ইউনিয়নের বালাকান্দি গ্রামের জাকির মোল্লার স্ত্রী রাজিয়া বেগমকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল প্রতিবেশী ফারুক বালা। কিন্তু বিষয়টি পরকীয়া বলে সন্দেহ করত ফারুক বালার পরিবার। পরে বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ফারুক বালার স্ত্রী, কন্যা ও ছেলে পিয়াল বালার সঙ্গে রাজিয়া বেগমের কথাকাটাকাটি হয়। তর্কের একপর্যায়ে রাজিয়া বেগমের ওপর ক্ষিপ্ত হয় পিয়াল। এ সময় লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই রাজিয়া বেগম মারা যান।
রাজিয়ার ভাই তাওহীদ বলেন, আমার বোনকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত ফারুক বালা এবং বাসায় এসে কুপ্রস্তাব দিত। তাদের পারিবারিক সন্দেহ ও দ্বন্দ্বে পিয়াল বালাসহ তার পরিবারের লোকজন এসে আমার বোনকে গলাটিপে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।
নিহতের স্বামী জাকির মোল্যা বলেন, নিজেদের পরিবারের মধ্যে সন্দেহের জের ধরে পিয়াল আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। মারার সময় আমার স্ত্রীর মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে রেখেছিল তারা। চিৎকারও করতে পারে নাই। আমি তাদের বিচার চাই। আমার সন্তানেরা এতিম হয়ে গেল।
সখিপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, ফারুক বালার স্ত্রী, কন্যা ও ছেলে পিয়াল বালা ও রাজিয়ার মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।