শরিয়তপুরের ৪ প্রবাসী লিভিয়া থাকা অবস্থায় শরিয়তপুর হতে ৪২ জনকে লিভিয়া দিয়ে ইতালী নেবার কথা বলে লক্ষ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরিবারকে হয়রানি করছে বলে এমন অভিযোগ উঠে এসেছে প্রবাসীসহ পরিবারের লোকজনদের প্রতি।
তথ্য সূত্রে জানা যায় যে, সজীব ছৌয়াল ওরফে শরিফ,নাঈম ছৌয়াল,আরিফ ছৌয়াল, তারা একটি প্রতারক চক্র।দীর্ঘ বছর ধরে দেশ থেকে বিদেশে নেবার কথা বলে নিজেদের নামে ও তাদের পক্ষ থেকে পরিবারের লোকজন দিয়ে নগদ টাকা সংগ্রহ করে থাকেন। প্রতারক এ চক্রের ব্যক্তিরা হলেন বাসার ছৈয়াল, সামাদ ছৈয়াল, কুরবান মৃধা, রফিক ছৈয়াল,রোস্তম আলী ছৈয়াল
শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার নাজিরপুর এর সিংগাচূরা গ্রামের স্বপন ব্যাপারীর পুত্র ভুক্তভোগী মানিক ব্যাপারি বলেন আমার ছোট ভাই সুমন সহ প্রায় ৪২ জন তাদের প্রতারনার শিকার। শরিয়তপুরের পুইন্নাইর পুল,বরুন পারা,নড়িয়াগ্রামের সজিব ছৈয়াল ওরফে সরিফ (২৭) তার পিতাঃ বাসার ছৈয়াল ২।বাসার ছৈয়াল ( ৬০)তার পিতাঃ ফরজ আলী ছৈয়াল (৮৫) ৩।আরিফ ছৈয়াল(৩০) তার পিতাঃ সামাদ ছৈয়াল ও ৪।সামাদ ছৈয়াল(৬০) তার পিতাঃ হাফিজ উদ্দিন ছৈয়াল ওরফে হাফছু ছৈয়াল ৫। রফিক ছৈয়াল(৩০)তার পিতাঃ ছবুর ছৈয়াল ৬। শান্ত আহম্মেদ (২৪)তার পিতাঃ কুরবান আলী ৭।নাঈম ছৈয়াল (২৮) তার পিতাঃ রোস্তম আলী ৮। সাজ্জাত ছৈয়াল(২০)তার পিতাঃ বাসার ছৈয়াল(৬০)। এরা পিতা ও পুত্র সম্পর্ক হলেও সবাই মানব পাচারকারীর ও প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত। আমাদের এখান থেকে বিদেশে নেবার কথা বলে অনেক পরিবারকে হয়রানি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ চক্রটি ইতালী নেওয়ার কথা অনেককে প্রথমে লিভিয়া নিয়ে অন্ধকার রুমে বন্দী করে মুক্তি পন আদায় করেছে। সময় মত টাকা দিতে না পারলে সজিব ওরফে সরিফ তার ছোট ভাই সারিরিক মারধোর করে ও প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। এমনকি তারা মাফিয়া চক্রের সাথে যোগাযোগ করে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়ে রাতারাতি কোটি পতি হয়ে গেছে। এ অবৈধ ও প্রতারনার টাকা দিয়ে এদের পরিবার শরিয়তপুর হতে চলে গিয়ে ঢাকা ধামরাই আম্তা বাজার এলাকায় ফ্ল্যাট কিনেছে বাসার ছৈয়াল এর নামে।এই বাসার ছৈয়াল প্রতারক চক্রের মূল হোতা।এবং লিভিয়াতে থাকা চক্রের মূলহোতা সজিব ওরফে সরিফ ছৈয়াল। এই ভাবে শত ফ্যামেলীকে নিঃশ করে দিয়েছে। আমরা ভুক্তভোগী পরিবার যারা তাদের প্রতারনার শিকার হয়েছি অচিরেই আইনের আশ্রয় নিবো তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে ।
এই প্রতারক চক্র নগদ টাকা ও নামে বেনামে বিভিন্ন একাউন্টে টাকা নিয়ে থাকে। এরপর সব টাকা বাসার ছৈয়াল এর একাউন্টে জমা হয়। বাসার ছৈয়ালের সোনালী ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারঃ১৬২৫৩০১০৩১৭২৪
আমাদের শরিয়তপুরবাসী ভোক্ত ভোগিদের আকুল আবেদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপে কামনা। বাসার ছৈয়াল ও তার সঙ্গীয়দের সকল ব্যাংন্ক একাউন্ট জব্দ করে আইনীভাবে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার । শরিয়তপুরের ৪২ জন কে তারা এই ফাদে আটকিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে এ বিষয়ে প্রতিকারের পদক্ষেপ । আর শরিয়তপুরবাসী যারা লিভিয়াতে আছেন তাদের জীবন আজ হুমকির মূখে।এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার।
এছাড়াও নড়িয়া,শরীয়তপুরের অারেক ভুক্তভোগী সাত্তারের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পরাযায় প্রতারনার নির্মম করুন কাহিনী। সাত্তারকে লিভিয়া নিয়ে জিম্মি করে মুক্তি পন আদায় করে এবং এই মুক্তি পনের জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রহার করে। তার পরিবার আরো আক্ষেপ করে বলেন কেউ আর আমাদের মত এই ফাঁদে যেনো না পড়েন। তার বিভিন্ন প্রোলভন দেখিয়ে মানুষকে ফাঁদে ফেলে সর্ব শান্ত করে যাচ্ছে। এই প্রতারক চক্র থেকে সবাই কে সাবধান থাকার আহ্বান জানান।
ভুক্তভোগীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকের প্রতি আবেদন করে ন্যায় বিচারের দাবী জানান।ভুক্তভোগীদের দাবী এই সকল প্রতারক চক্রের লোকদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ।