মাত্র কয়েকদিন পরেই আসছে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র শবে-ই-বরাত। দিনটিকে কেন্দ্র করে বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। মধ্যবিত্তদের নাগালের বাহিরে বলা চলে। বাচ্চা মুরগির দাম ও মুরগির খাবারের দাম দিগুণ হওয়ায় পাইকারী বিক্রেতারাও বাড়িয়েছে মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। শবে-ই-বরাতের পর কিছুটা কমলেও রমজানে কমার সম্ভাবনা বেশী।
নগরীর দিগু বাবুর বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মো. আহাদ লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, মুরগির দাম ১ সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া মুরগির খাবারের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে, আগে মুরগির বাচ্চা কেনা হতো ১০ থেকে ১২টা পিস। কিন্তু এখন সেই মুরগির বাচ্চা কিনতে হচ্ছে ৩০-৪০টাকা পিস। দাম বৃদ্ধির কারণে ছোট ছোট যে খামারি গুলো ছিলো তারা এখন মুরগি উৎপাদন করা কমিয়ে দিয়েছে। চাহিদা বেশী থাকায় যারা মোটামুটি বড় খামারি তারা এমনিতে বেশী দামে বিক্রি করছে মুরগি।
এদিকে, বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। অপর দিকে, সোনালি মুরগির কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩১০-৩২০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮০-২৯০ টাকা।
খুচরা মুরগি ব্যবসায়ি মো. ইব্রাহিম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, শবে-ই-বরাতের মুরগির ক্রেতা বেশী থাকায়, মুরগির দামও বেশী। তাই বিগত ৩-৪দিনে প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শবে-ই-বরাতের পরে বুঝা যাবে মুরগির দাম কেমন থাকবে রমজানে। দাম বৃদ্ধির কারণে বাজারে মুরগির ক্রেতাদের চাহিদাও কমে গেছে। আগের মতো বেঁচাকেনার অবস্থাও মন্দা যাচ্ছে। আমরা চাই মুরগির দাম কমলে আমাদের ক্রেতাদেরও চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। আশা করি রমজানে কিছুটা দাম কমবে।