নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সৈয়দপুর আলামিন নগরের বাসিন্দা সাঈদ মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে ফতুল্লা থানার হোসাইনি নগরের বাসিন্দা সানজিদা আক্তারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারনা ও হয়রানি মূলক আচরন করে আসছে বলে জানা যায়।
প্রতারক মামুন মিয়া বিভিন্ন পত্রিকা ও এলাকার লোকজনের কাছে নানা রকম বদনাম ও অশ্লীল কথা বার্তা বলে বেড়াচ্ছে। ও সানজিদাকে তার স্ত্রী বলেও সম্বোধন করছে। যা নিছকই মিথ্যা ও ভুয়া সংবাদ। এর কোন সত্যতা বা প্রমান নেই।
সানজিদা তার অভিযোগে বলেন, মামুনের সাথে আমার বাবার ও আমার স্বামীর ব্যবসায়িক কিছু লেনদেন ছিলো। আমার স্বামী প্রবাসী। তাই সেই টাকা তুলতে আমি তার দোকানে যাওয়া আসা করি। সে সুবাধে তার সাথে আমার পরিচয়। কিছুদিন পর পর সেই টাকা আস্তে আস্তে আমাকে দিয়ে দেয় সে।
এক পর্যায়ে মামুন আমাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেয়। আমাকে সে বিয়ে করবে বলেও জানায়। আমি একজন বিবাহিত মেয়ে, আমার স্বামী থাকা সত্বেও আমি তাকে কেনো বিয়ে করবো? আমি তার প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করে দেই। এরপর থেকে সে শুরু করে আমার সাথে প্রতারনা। ব্ল্যাকমেইলিংয়েরও চেষ্টা করে অনেক, কিন্তু প্রমান না থাকায় তা আর পারেনি প্রতারক মামুন মিয়া।
আমার নামে ১৮ লক্ষ টাকা এবং সাড়ে ৪ লক্ষ টাকার স্বর্নালংকার নেওয়ার অভিযোগ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও মানুষের কাছে। এই অভিযোগ পুরোটাই মিথ্যা। আমি তার কাছ থেকে পাওনা টাকা ছাড়া আর কোন টাকা নেইনি। এর কোন সত্যতা ও প্রমান নেই।
আরও ভুয়া অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে আমার নাকি আরও তিনটি বিয়ে হয়েছে। এবং তাদের কাছ থেকেও টাকা আত্মসাত করার মত জঘন্য কথাও বলা হচ্ছে।
আমি একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মেয়ে। আমার সৈয়দপুর আলামিন নগরের ছেলে আলী রাজের সহিত বিয়ে হয়েছে আমার একটি মেয়েও আছে। আমার নামে এসব ভুয়া ভিত্তিহীন অভিযোগ করে শুধু আমার মান সন্মানই নয় আমার পুরো পরিবারের মানসন্মান নষ্ট করা হচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
আমার বাড়িতে মামুন সন্ত্রাস ভাড়া করে নিয়ে আমাকে ও আমার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে আসছে প্রতিনিয়ত। তাই আমার ও আমার বাবার জীবন রক্ষার্থে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে নারি ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করি। যার নং ৩৫৮/২৪।
মামুন মিয়ার নামে আরও অভিযোগ পাওয়া যায়, সে একজন ভন্ড, প্রতারক, লম্পট ও চরিত্রহীন লোক। সে মেয়েদের প্রেমের জালে ফেলে টাকার লোভ দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে। জোর করে শারিরীক সম্পর্ক স্হাপন করে মোবাইলে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ারও ভয় দেখায় মেয়েদের। লোক লজ্জার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার মতো সাহস পায়না।
ভন্ড মামুন মিয়া একজন নারীলোভি লম্পট প্রকৃতির লোক। তার নামে একাধিক বিয়ে করার খবরও পাওয়া যায়। প্রথম স্ত্রী পাইকপাড়া নয়াপাড়ার বাসিন্দা জেনিফা রহমান জোনাকি তার ঘরে দু’টি সন্তান রয়েছে একটির বয়স ১২ বছর আরেকটির ৫ মাস। দ্বিতীয় স্ত্রী বন্দরের কুশিয়ারা এলাকার মেয়ে রাইছা আহমেদ। তৃতীয় স্ত্রী দেওভোগ এলাকার সুমা ইসলাম, তার ঘরে একটি কন্যা সন্তান আছে।
তার নামে আরও প্রতারনার খবর পাওয়া যায়, বিভিন্ন ব্যবসায়ির নিকট থেকে প্রায় দেড় ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে সে এখন পালিয়ে বেড়ায়। মোবাইল ফোনে কল করেও তাকে পাচ্ছেনা পাওনাদারেরা।
এমতাবস্থায় সানজিদা ও তার বাবা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সন্ত্রাসী দিয়ে তাদের মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে আসছে।
আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অনতিবিলম্বে এই লম্পট প্রতারক, নারীলোভী মামুনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে এর সুষ্ঠ বিচার করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।