লক্ষ্মীপুরে মাইশা পরিবহন নামের একটি বাসে গ্যাস রিফিলের সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন ১৫ জন। এদের মধ্যে ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরে আরও ১ জন মারা যায়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকার গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- হৃদয় (১৯), ইউসুফ (৩২) ও সুজন (২৫)।
হৃদয় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে। সে পেশায় মোটর মেকানিক। ইউসুফ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্চানগর গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে ও সুজন সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে। আহতদের কারো নাম- পরিচয় জানা যায়নি। তাদের অবস্থা আশঙ্কা জনক। এদের মধ্যে কারো হাত এবং কারো পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, রাত দেড়টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতি রুটে চলাচলকারী মাইশা পরিবহন নামের একটি বাস গ্যাস নিতে গ্রীণলিফ গ্যাস স্টেশনে আসে। ফিলিং স্টেশন থেকে বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হন গ্যাস নিতে আসা একাধিক সিএনজি চালকসহ ১৫ জন। এসময় ঘটনাস্থলে মানুষ দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করে। পরে খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের ১ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রনজিত কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন জানান, তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।