অবশেষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার এক ম্যাচে ৫০০ রানের সাক্ষী হলো ক্রিকেট বিশ্ব। সেঞ্চুরিয়নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ ওভারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রোববার (২৬ মার্চ) সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের দেয়া ২৫৯ রানের টার্গেটে ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা।
ডি ককের দ্রুততম সেঞ্চুরি ও রেজা হেন্ড্রিকসের বিধ্বংসী ফিফটিতে তাদের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ঠিক ২৫৯ রানে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৪৩ রান তাড়া করে এ রেকর্ড নিজেদের দখলে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তুলতে থাকেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেন্ড্রিকস। দুজনের ব্যাটে মাত্র ৫.৩ ওভারে দ্রুততম দলীয় শতকের রেকর্ড গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ২০২১ সালে ৬.১ ওভারে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ রেকর্ড গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ডি কক ১৫ বলে ফিফটি করার পর ৪৩ বলে তুলে নেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি।
রেইমন রাইফার যতক্ষণে ডি কককে সাজঘরের পথ ধরান ততক্ষণে জয়ের ভিত শক্ত হয়ে যায় প্রোটিয়াদের। দলীয় ১৫২ রানে আউট হন ডি কক। ৪৪ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় থামে তার ইনিংস। রেজা থামেন ২৮ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কার মারে ৬৮ রান করে। শেষদিকে ৪ চার ও এক ছক্কায় ২১ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম।
ক্যারিবীয়দের পক্ষে একটি করে উইকেট তুলে নেন জেসন হোল্ডার, ওডিন স্মিথ, রেইমন রাইফার ও রভম্যান পাওয়েল। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চার্লসের প্রথম সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৯ বলে মাইলফলকে পা রেখে ক্যারিবীয়দের হয়ে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড করেন চার্লস।
আগের রেকর্ড ছিল ক্রিস গেইলের। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গেইল ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ডের তালিকায় চার্লস দুই নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন। এ তালিকায় ৩৫ বলে সেঞ্চুরি আছে ডেভিড মিলার, রোহিত শর্মা ও চেক রিপাবলিকের সুদেশ বিক্রমাসেকারার। সাজঘরে ফেরার আগে চার্লস ৪৬ বলে ১০ চার ও ১১ ছক্কায় করেন ১১৮ রান।
এছাড়া ২৭ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫১ রান করে ক্যারিবীয়দের ইনিংস বড় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন কাইল মেয়ার্স। প্রোটিয়াদের হয়ে ৫২ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তুলে নেন মার্কো ইয়ানসেন। ৪৩ রান খরচায় বাকি ২ উইকেট নিজের পকেটে পুরেন ওয়েন পার্নেল। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছিল ক্যারিবীয়রা। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতায় ফিরল প্রোটিয়ারা।