নিজস্ব প্রতিনিধি- নারায়নগঞ্জ রূপগঞ্জ থানাধীন মধুখালি তিনরাস্তার মোড় এলাকায় স্বৈরাচারী দূঃশাসনের সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ চক্র এখনো সক্রিয়। সন্ত্রাসী অপরাধ চক্রটি এই স্থানে দিনে দুপুরে ও রাতের আঁধারে সাধারণ মানুষের গতিপথ আটকে দিয়ে নগদ টাকা পয়সা,মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে থাকে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। সস্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড ও উৎপাতে এলাকার সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে বলে শোনা যায়। দিনে দিনে তাদের হুমকি ধামকি ও চাঁদাবাজি কর্মকান্ড বেড়েই চলছে । তারা এতটাই ভয়ংকর যে এলাকা জুড়ে তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের সাথে এরা হাত মিলিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্হানে বিক্রি করছে মাদক। এ ছাড়াও অবৈধ ভাবে টাকার বিনিময়ে করছে জমি দখল। তাদের এ অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করছে স্হানীয় কিছু কুচক্রী মহলের প্রভাবশালী লোকজন। সাধারণ মানুষ তাদের অত্যাচারের ভয়ে মূখ খুলতে সাহস পায়না।
এক ভূক্তভোগী জানায়,তাদের চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা না দিলেই চলে নির্মম অত্যাচার,প্রাণের হুমকি ও বাড়িঘর ভাংচুর। এরা চাঁদাবাজি ছাড়াও এলাকায় চালাচ্ছে চুরি, ডাকাতি। এরা এতটাই বেপরোয়া দিনে দুপুরে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে লাঞ্ছিত করে সবকিছু কেড়ে নেয়।
দেশে স্বৈরাচার ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও দেশ ছেড়ে অনেকে পালিয়ে গেলেও এ অপরাধী চক্রটি নির্ভয়ে আগের মতো নিরাপদে তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তারা মাদক,চুরি ছিনতাই সহ নানা অপকর্ম প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিক রুটিনের মতো।এরা মানুষের মাঝে ভয় সৃষ্টি করতে দিনে রাতে দলবেধে হোন্ডার মহরা দিয়ে থাকে। পুরো এলাকাজুড়ে বানিয়ে রেখেছে অপরাধের স্বর্গ রাজ্য। তাদের কাছে আইন বলতে কিছু নাই। তাদের বলারও কেহ নাই।তাদের অত্যাচার মধ্য যুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। বর্তমানে তাদের অত্যাচারে এলাকায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পরছে। এ সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে মানুষের নিরাপত্তা দিনে দিনে আরো হুমকির মুখে পড়তে পাবে এবং বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে বলে অনেকের ধারণা। এখানে চুরি ডাকাতির মতো বড় ঘটনা ঘটলেও কাউকে আইনী ব্যবস্থা নিতে দেওয়া হয় না। কেউ আইনি ব্যবস্থার নেয়ার আগেই অপরাধীদের আরেকপক্ষ এসে তালবাহানা করে সমাধানের নাটক সাজিয়ে অপরাধীদের মুক্ত করে নিয়ে যায় । এ স্থান ছাড়াও ৩০০ফিট সহ আশেপাশের এলাকায়, দলবদ্ধ ভাবে গড়ে উঠেছে অনেক অপরাধীদের নেট ওয়ার্ক। এখানে অনেক বড় বড় অপরাধী আত্নগোপনে রয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
এলাকাবাসীর অনুরোধ নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গোপনীয় ভাবে পর্যবেক্ষণ করে এসকল স্থানে যে সকল অপরাধী চক্র আস্তানা গড়ে তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার।