সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

রূপগঞ্জে বয়োবৃদ্ধের চিকিৎসা ব্যয় বহন নিয়ে হাসপাতালে দু সংসারের লোকজনের মারামারি ; সত্য গোপন রেখে সাংবাদিক রিয়াজের মিথ্যাচার

  • আপডেট সময় রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৯.৫৭ এএম
  • ০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি- রূপগঞ্জ থানাধীন গুতিয়াবো এলাকার বয়োবৃদ্ধ মোঃ অছিউদ্দিন মোল্লা। তাহার বয়স প্রায় ৯৫ বছর। হঠাৎ শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে গেলে পরিবারের লোকজন তাহকে গাজীপুর একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের চিকিৎসার খরচ নিয়ে দুপক্ষের সংসারের পরিবারের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় সাংবাদিক রিয়াজের স্ত্রী শান্তার আঘাতে ফারুক মোল্লা’র স্ত্রী হ্যাপি আহত হয়ে সেই হাসপাতালে ভর্তি হন। ফারুক মোল্লা মারামারির বিষয়ে সাংবাদিক রিয়াজ এর নিকট ন্যায় বিচার চাইতে গেলে উল্টো সাংবাদিক রিয়াজ ও তার শশুড়বাড়ীর লোকজনের হাতে লাঞ্ছিত হয়। এ বিষয়টি গোপন রেখে সাংবাদিক রিয়াজ উল্টো ফারুক মোল্লা ও তার পরিবারের নামে সন্ত্রাসী হামলার সংবাদ প্রকাশ করে মিথ্যাচার করে চলছে বলে হ্যাপির স্বামী ফারুক মোল্লার পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে।

ভূক্তভোগি ফারক মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, গত কিছুদিন পূর্বে আমার শশুড় পারিবারিক জমি প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকায় বিক্রি করেন। জমি বিক্রির টাকা তার দুস্ত্রীর সন্তানদের মাঝে যার যার প্রাপ্য টাকা বন্টন করে দেন।আমার শশুড় বয়োবৃদ্ধ অছিউদ্দিন মোল্লা সকলের প্রাপ্য বুঝাইয়া দিয়া নিজের হাতে ৫০ লক্ষ টাকা গচ্ছিত রাখেন। সেই টাকা নিয়ে তিনি তার স্ত্রী হাজেরা খাতুন, পুত্র মোঃ সাহেল ও কণ্যা শান্তা এদের সংসারে চলে যান। শশুড় হঠাৎ শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ৩য় স্ত্রী হাজেরা খাতুন চিকিৎসার জন্য গাজীপুর মঠবাড়ী ডিভাইন মার্সি হাসপাতালে ভর্তি করান। কর্মরত চিকিৎসক অছিউদ্দিন মোল্লার শারীরিক অবস্থা ভালো না বিধায় ICU তে রাখেন। এ খবর পেয়ে আমার শাশুড়ীর সংসারের অথাৎ অছিউদ্দিন এর ২য় ঘরের সন্তান কাজল মোল্লা, হ্যাপি,শেফালী, লাভলী ও শিউলি ৭ মে হাসপাতালে পিতাকে দেখতে যান। হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তাদের পিতার পাশে কেউ নেই। খরব নিয়ে জানতে পারেন হাজেরা খাতুন ৬ মে পিতাকে একা রেখেই বাসায় চলে গেছেন। এ খবর শোনার পর ৭ মে হাজেরা খাতুন ও তার বোন রাজিয়া খাতুন, কণ্যা শান্তা,ছেলে সাহেল মোল্লা ও ছেলের স্ত্রী তানজিলা ৭টার সময় হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয়। হাজেরা খাতুনকে দেখে আমার স্ত্রী হ্যাপি তার পিতাকে একা রেখে চলে যাবার কারন কি এটা জানতে চান। কিন্তু প্রতিউত্তরে হাজেরা খাতুন ও তারবোন এবং শান্তা রাগান্বিত হয়ে উঠে। কোন উত্তর তা দিয়ে বলে তোদের বাবার কাছে ১০ লক্ষ টাকা আছে। সেটাকা কোথায় আছে তোর ভাই কাজল মোল্লা জানে। কাজলকে বল সে টাকা নিয়ে আসতে। যদি না নিয়ে এসে আমার হাতে না দেয় তা হলে তোদের বাবা মরে গেলেও আমরা একটি টাকাও চিকিৎসার জন্য খরচ ব্যয় করবো না। এ কথা শুনে কাজল মোল্লা বলে বাবা ১০ লক্ষ টাকা একজন ব্যবসায়িকে দিয়েছে। সেই ব্যবসায়ী বাবাকে ব্যবসার অংশ হিসেবে যেটাকা দেয় বাবা তার প্রয়োজনে খরচ করে। বাবা সুস্থ হয়ে উঠলে তারপর বিষয়টি বাবা কি করবেন তা বলতে পারবো এখন এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই এবং বাবার টাকার বিষয়টি কাকা শফিউদ্দিন মোল্লা জানেন। এ কথা বার্তা চলা অবস্থায় দুপক্ষের পরিবারের মাঝে বাকবিতন্ডা শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে হাজেরা খাতুন ও তার বোন রাজিয়া এবং শান্তা তারা সকলে মিলে আমার স্ত্রী হ্যাপির উপর আক্রোশ হয়ে হ্যাপিকে এলোপাতাড়ি মারধোর শুরু করে হাসপাতালে লোকজনের সম্মুখে। তাদের আঘাতে হ্যাপি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যান এবং হ্যাপিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আমি ঘটনা শুনে শান্তার স্বামী সাংবাদিক রিয়াজের সাথে সাক্ষাৎ এ সব ঘটনা বলতে এবং সুষ্ঠু সমাধানের জন্য রাত ৮ টায় রূপগঞ্জ সুমু মার্কেট রিয়াজের অফিসে যাই । সেখানে গিয়ে দেখতে পাই হাজেরা খাতুন , রাজিয়া বেগম, শান্তা সবাই অফিসে বসে আছেন। আমি ঘটনার বিষয় সাংবাদিক রিয়াজেকে জানাই। এবং সমাধান করতে বলি। কিন্তু সাংবাদিক রিয়াজ সুষ্ঠু সমাধানের পরিবর্তে উল্টো আমাকে নানা ধরনের ভয়ভীতি ও ক্ষমতার দাপট দেখান। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সাংবাদিক রিয়াজ উত্তেজিত হয়ে আমার উপর হাত তুলে। দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে উভয় পক্ষ কে শান্ত করতে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসেন।
আমি কোন বিচার না পেয়ে উল্টো সাংবাদিক রিয়াজের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে আমার পারিবারিক লোকজন শফিউদ্দিন মোল্লা ও মোশাররফ মোল্লা সহ কয়েকজনকে জানাই। তারা সবাই বসে পারিবারিক ভাবে মিমাংসা করবেন বলে আস্বস্ত করেন। কিন্তু পারিবারিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি গোপন রেখে সাংবাদিক রিয়াজ মিথ্যাচার করে সাংবাদিক সমাজের কাছে সাংবাদিক রিয়াজ তার মনগড়া মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে গণমাধ্যমে আমি ও আমার পরিবারকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রচার করে চলছে।

ফারুক মোল্লা পরিশেষে বলেন, সাংবাদিক হলো সৎ ও ন্যায়ের প্রতীক। স্বার্থ ও, লোভ লালসার উর্ধে। কিন্তু সাংবাদিকই যদি স্বার্থের কারণে সাধারণ মানুষকে সাংবাদিকতার ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করতে চায় তাহলে বিচার পাবো কার কাছে। আমরা সাংবাদিক পেশাকে একটি মহৎ ও ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে জানি। তাই সাংবাদিক রিয়াজ যে সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে তা অতন্ত্য দুঃখজনক। আমি সাংবাদিক ভাইদের আহ্বান করতে চাই আপনারা ঘটনাস্থলে এসে সংবাদের সত্যতা যাচাই করুন এবং সেই সাথে দাবি জানাই প্রকৃত ঘটনা জনসম্মুখে প্রকাশের।
ভূক্তোভূগী ফারুক মোল্লা’র এ তথ্যের ভিক্তিতে সাংবাদিক রিয়াজ এর মুঠোফোন (০১৭১৩৬২৫৩৫৩) এ যোগাযোগ করলে কলটি রিসিভ হয়নি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort