নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক) বলেছেন, আমাদের রূপগঞ্জে ভূমিদস্যুরা যাতে কোন ভূমি নিতে না পারে সেই কারণে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার উঠেছে। মানুষ জানে যে, নৌকা আসলে তাদের ভূমির অধিকার ঠিক থাকবে। কিন্তু ভূমিদস্যুদের পুতুল প্রার্থীরা আসলে মানুষের ঘরবাড়িও বেদখল হয়ে যাবে। তাই মানুষ ভূমিদস্যুদের প্রার্থীকে চায় না। আজকে নৌকার পক্ষে যেই গণজোয়ার তৈরী হয়েছে, এটাই তার প্রমান।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া কলেজ মাঠে নির্বাচনি মতবিনিময় সভা এবং গণসংযোগকালে নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক) এসব কথা বলেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, নৌকার ওই গণসংযোগে হাজার হাজার নেতাকর্মী এবং সাধারন মানুষের ঢল নামে। সকলেই নৌকার পক্ষে মন্ত্রী স্লোগান ধরেন। পাশাপাশি রূপগঞ্জে ভূমিদুস্যুদের বিরুদ্ধেও মন্ত্রী গাজীর কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে স্লোগান ধরেন স্থানীয় ভোটাররা।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী শেষ মিটিংয়ে নারায়ণগঞ্জে আসছেন। তিনি জনগণকে উন্নয়নের বার্তা দিবেন। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কি কি করনীয় তিনি তা বলবেন। নৌকার প্রার্থীদের তিনি পরিচয় করিয়ে দিবেন।’
নৌকা প্রতীকের বাইরে কেউই প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী নন জানিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক) বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা বিগত তিনবারের ন্যায় এবারও রূপগঞ্জের উন্নয়নের জন্য নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। নৌকা হলো প্রধানমন্ত্রীর প্রতীক। আওয়ামী লীগের দলীয় এবং উন্নয়নের প্রতীক। এই প্রতীকে বিগত ৩ বার আপনারা রূপগঞ্জ থেকে আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। প্রতিদানে রূপগঞ্জকে একটি অজপাড়া গা এবং অবহেলিত অঞ্চল থেকে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় শহরে রূপান্তর করতে পেরেছি। নৌকার এই উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। এর জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করতে হবে।
ফের আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে ভূমির অধিকার ঠিক থাকবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রূপগঞ্জে আর কোনো ফসলি জমি ভরাট করতে দেয়া হবে না। কোনো ভূমিদস্যুকে রূপগঞ্জ দখল করতে দেয়া হবে না।
নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন ইউনিয়নে নৌকার পক্ষে নেতাকর্মী সহ সমর্থকদের ঢল নেমেছে। নৌকার মাঠ হাজারগুনে ভালো। নির্বাচনি পরিবেশ খুব সুন্দর। নির্বাচন কমিশন খুব কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডে আমরা সন্তুষ্ট।