নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নির্বাচনী বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত সাতজন আহত হয়েছে৷ এ সময় ইউপি কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে একটি প্রাইভেটকারসহ চারটি যানবাহনে৷
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ৷
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আমিন রানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সাত্তারের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ তাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ থাকলেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ বিরোধ আরও বাড়ে৷
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন৷ অন্যদিকে, রফিকুল, আমিন ও সাত্তার ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে৷ নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর বিজয়ী হন৷ নির্বাচনের সময়ই উভয়পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধেরে জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা৷
এ ঘটনায় নিজের সমর্থক মোসা. তুলি, মো. রাজু, মো. ফয়সাল ও মো. তামিম নামে চারজন আহত হয়েছেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর৷
তিনি বলেন, দুপুরে ইউপি কার্যালয়ের সামনে শীতবস্ত্র বিতরণের আগে রফিকুল ইসলাম, আমিন রানা ও আবদুস সাত্তার নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন ইউপি কার্যালয়ে হামলা করে। তাঁদের বাধা দিতে গেলে কয়েকজনকে মারধর করা হয়।
“তারা আমার একটি প্রাইভেট কারসহ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে”, বলে যোগ করেন তিনি৷
অভিযোগের বিষয়ে যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি৷
তবে, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিন রানা বলেন, ‘আমি জানতে পারি, কিছু লোক ইউনিয়নের পরিষদের কাছে বটতলায় আমাদের দলীয় কার্যালয় হামলা করেছে নুরুল ইসলামের লোকজন৷ পরে সেখানে গিয়ে মারামারি ও যানবাহনে আগুন জ্বলতে দেখতে পাই৷ কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং আমি সেখান থেকে চলে আসি৷ আগুন বা মারামারির ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত না৷”
ঘটনাস্থলে যাওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, পুরোনো বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়িসহ চারটি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন৷