পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে গিয়ার গ্রুপের বিরুদ্ধে তান্ডব চালিয়ে ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে জানা গেছে। গত রোববার দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল দক্ষিনপাড়ার খালপার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দোকানের মালিক শফিক মিয়া জানান, গত সংসদ নির্বাচনের দিন আমার দোকানে মাছুম বিল্লাহ ১৫’শ টাকা বাকি খায়, এরপর আর দোকানের সামনে আসেনি।
রোববার মাছুম বিল্লাহ ও তার সহযোগীদের নিয়ে আবার আমার দোকানে আসলে আমি তাদের কাছে আমার পাওনা টাকা চাই।
এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা করে এ সময় বাধা দিতে এলে আমার মা মনোয়ারা বেগম, পথচারী আলমগীর ও মহিউদ্দিনকে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীরা আমার দোকানের মালামাল ফেলে দেয় আমার দোকানে থাকা নগদ বিশ হাজার টাকা লুটে নেয়।
এলাকাবাসী জানায়, মাছুম বিল্লাহ বাহিনী এলাকার এক আতংকের নাম। কারনে অকারনে মানুষকে মারধর বা বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করাই তাদের কাজ।
গোলাকান্দাইল ৬ নং ওয়ার্ডের মিলনের ছেলে মাসুম বিল্লাহ, মোজাম্মেলের ছেলে রাকিব, মোক্তারের ছেলে ইব্রাহিম ও রফিকের ছেলে আরিফ। এরা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
চাঁদাবাজি, জমিদখল, মাদক বিক্রি ও অস্ত্রের মহড়াসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ায়। এদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। গোলাকান্দইল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আল আমিনের ছত্রছায়ায় এরা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।
এ গ্রুপের সদস্যদের কাছে সুইচ গিয়ার নামের অস্ত্র থাকে। এর কন্য তারা নিজেরাই তাদের গ্রুপের নাম দিয়েছে গিয়ার গ্রুপ। এ গ্রুপের প্রধান মাসুম বিল্লাহর নামে দুইটি হত্যাসহ দুই ডজনের মতো মামলা রয়েছে। মামলা থাকলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছেনা।
এলাকায় কেউ নতুন বাড়ি করলে তাদের মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। তাদের কথার অবাধ্য হলে চলে নির্মম অত্যাচার। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তাার করে শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ভুলতা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলি পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।