শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:১২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
এটা শুধুই অফিস লুকের অংশ : মাহি ভারতের কাছে বাজেভাবে হারের ভয়ে ম্যাচ বয়কট চান সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার বৈধ না হলে নির্বাচন আয়োজনের কোনো মানে হয় না : ড. ইউনূস সোনারগাঁয়ের আলোচিত চেয়ারম্যান লায়ন বাবুল গ্রেপ্তার রূপগঞ্জের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর ভোলাগঞ্জের লুটকৃত ৪০ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর জব্দ করল র‌্যাব-১১ না.গঞ্জ সদর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত সাফল্যের শেষ নেই, শেষ আছে ব্যর্থতার নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ৩ প্যানেলের মনোনয়নপত্র জমা বন্দরে লুন্ঠিত রড উদ্ধারসহ ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় মামলা

রূপগঞ্জের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ২.২৮ পিএম
  • ১ বার পড়া হয়েছে

রূপগঞ্জ উপজেলার বেড়িবাধ এালাকায় গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি খাল দখলসহ সঠিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করছে।

তাতে কাঞ্চন পৌরসভা, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে প্রায় হাজারো মানুষ পানি বন্দি রয়েছেন। জলাবদ্ধতায় একদিকে স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারছে না অন্যদিকে পচাঁ পানি ছড়িয়ে পড়ায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক মানুষ।

জনগনের ভোগান্তি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করার পর বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কয়েকটি জলাবদ্ধ গ্রাম পরিদর্শন করেন রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে এলাকা পরিদর্শনকালে সরকারি খাল দখল, বালু ভরাট, ও সরকারি খাল দখল করে বালুর গদি নির্মাণ, ফ্যাক্টরি নির্মাণসহ নানা অভিযোগের সত্যতা খুজে পান। পরে কয়েকটি খাল তাৎক্ষনিক দখল মুক্ত করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা পরিবেশ ছাড়পত্র সদর দপ্তরের পরিচালক মাসুদ ইকবাল মোহাম্মদ শামীম, নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচএম রাশেদ, পুর্বাচল রাজস্ব সার্কেলের সহকারি কমিশনার তাছবীর হোসেন সুজাসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

 

স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিত্বে সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাছবীর হোসেন জানান, কাঞ্চন পৌরসভা, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হাটাবো টেকপাড়া, কালাদি, নলপাথর, নরাবো, কোশাব, আইতলা, ডুলুরদিয়া গ্রামে প্রায় হাজার হাজার মানুষের বসবাস। এসব গ্রামের কৃষি জমিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ছোট বড় সব মিলিয়ে কয়েকটি খাল রয়েছে।

এসব খাল দিয়ে বৃষ্টির পানি সড়ে যেতো। খালের উপর একাধিক আবাসন প্রকল্প, বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরিসহ নানা স্থাপনা নির্মান করায় পানির চলাচল বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সরেজমিনে এসে যত জবরদখল ও স্থাপনা ছিল তাদেরকে স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ভরাটকৃত খালগুলো দ্রুত খনন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ইষ্টউড আবাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল উদ্দিন বলেন, আমাকে ৩ মাসের সময় দেয়া হয়েছে, সে সময়ের আগেই সরকারী খাল খনন করে দিবো। এছাড়া নিয়মকানুন মেনে সকল প্রকার কার্যক্রম চালাবো।

 

ঢাকা পরিবেশ ছাড়পত্র সদর দপ্তরের পরিচালক মাসুদ ইকবাল শামীম বলেন, ইষ্টউড আবাসন কোম্পানীতে সরকারি খাল ভরাটের সত্যতা পাই। কয়েকটি খাল ভেকু দিয়ে খনন করে দখলমুক্ত কার্যকক্রম শুরু করা হয়। কোম্পানীকে তিনমাসের সময় দেওয়া হয়েছে দখলকৃত সবগুলো খাল খনন করে দিতে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort