ঘরের মাঠে হার কী জিনিস- সেটা ভুলেই যেতে বসেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিছুদিন আগেই চ্যাম্পিয়নস লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দুবার পিছিয়ে গিয়েও ৫ গোল দিয়েছিল দলটি।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই এবার বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে হারল কার্লো আনচেলত্তির দল। টানা ৪২তম ম্যাচে অপরাজিত থেকে হারের স্বাদ নিল মাদ্রিদ। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন রবার্ট লেভানডভস্কি।
রিয়াল ভক্তরা তাকিয়ে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পের দিকে। প্রথম এল ক্লাসিকো বলে কথা, তাও আবার ঘরের মাঠে। কিন্তু প্রথমার্ধজুড়ে কেবল হতাশই করেছেন তিনি। একের পর এক অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে যেতে ব্যর্থ হন এই ফরোয়ার্ড। এমনকি গোলের দেখা পেলেও সেটা বাতিল হয় অফসাইডের কারণে৷
ম্যাচের প্রথমার্ধে কেউই গোল দিতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে
৫৪ মিনিটে মার্ক কাসাদোর নিখুঁত পাসে বার্সাকে এগিয়ে দেন লেভা। দু মিনিট পরই বার্নাব্যুতে পিনপতন নীরবতা বয়ে আনেন তিনি। ডানপ্রান্ত থেকে আলেহান্দ্রো বালদের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দারুণ এক গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
এরপর অবশ্য হ্যাটট্রিক করার দারুণ দুটি সুযোগ আসে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি লেভা৷ এর মধ্যে একটি শট অবশ্য বারে লাগে।
লেভা হ্যাটট্রিক না পেলেও বার্সার তৃতীয় গোল পেতে সময় লাগেনি খুব একটা। ৭৭ মিনিটে ডান পায়ের শট জালে প্রবেশ করান ইয়ামাল। যার ফলে এল ক্লাসিকো ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতায় পরিণত হলেন তিনি।
১৯৪৭ সালে রিয়ালের বিপক্ষে ১৭ বছর ৩৫৬ দিন বয়সে গোল করেছিলেন বার্সার আলফোনসো নাভারো। অন্যদিকে লামিন ১৭ বছর ১০৬ দিন বয়সে খেলতে নেমে গোলটি করেন।
এর ৭ মিনিট পরই রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি মারেন রাফিনিয়া।
এই জয়ে ১১ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করল বার্সা। ৬ পয়েন্ট দূরে থেকে দুইয়ে আছে রিয়াল। ১১ ম্যাচ শেষে তাদের অর্জন ২৪ পয়েন্ট।