সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সফর ঢাকা-থিম্পু সম্পর্ক সুদৃঢ় করেছে: যৌথ বিবৃতি সুপার ওভারে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশ ‌‌‌‌‘এ’ দলের ইউক্রেন ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ গ্রেপ্তার উড়ালসড়কের কাজ করতে গিয়ে ফেটেছে তিতাসের পাইপলাইন, গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত রূপগঞ্জের ম্যাক্স সোয়েটার্সের ভবনে ফাটল, শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সোনারগাঁয়ে বহিষ্কৃত ও মনোনয়ন–বঞ্চিত নেতাদের নিয়ে সালাউদ্দিন সালুর বিদ্রোহী সমাবেশ নারায়ণগঞ্জে ব্র্যাকের ডেঙ্গু প্রতিরোধ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সভা রূপগঞ্জে ফাটল ধরা কারখানা ভবনে পুনরায় কম্পন : বিক্ষোভ, ভাংচুর সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ ভবন পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

রাশিয়া-চীন সম্পর্ক ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে: পুতিন

  • আপডেট সময় রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫, ১১.৪৯ এএম
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে অর্থনীতি থেকে শুরু করে কৌশলগত সমন্বয় পর্যন্ত দুই দেশের অংশীদারিত্ব আরও গভীর হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক এখন “অভূতপূর্ব উচ্চতায়” পৌঁছেছে। শনিবার চীনের সংবাদসংস্থা সিনহুয়া-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ২০২১ সালের পর থেকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে।

তিনি বলেন, “রাশিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার এখন চীন। আর রাশিয়া গত বছরে চীনের পঞ্চম বৃহত্তম বৈদেশিক অংশীদার হয়েছে”। তিনি আরও জানান, বাণিজ্য মূলত ডলারে হিসাব করা হলেও এখন প্রায় সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব জাতীয় মুদ্রায় লেনদেন হচ্ছে। ডলার ও ইউরোর অংশ নেমে এসেছে “পরিসংখ্যানগত ভুলের স্তরে।”

পুতিন উল্লেখ করেন, রাশিয়া এখনও চীনের শীর্ষ জ্বালানি সরবরাহকারী। ২০১৯ সালে চালু হওয়া ‘পাওয়ার অব সাইবেরিয়া’ পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ ইতোমধ্যেই ১০০ বিলিয়ন ঘনমিটার ছাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৭ সালে পূর্বাঞ্চলীয় গ্যাস পাইপলাইন সম্পন্ন হলে চীনে গাড়ি রপ্তানি ও জ্বালানির চাহিদা পূরণে রাশিয়ার ভূমিকা আরও বাড়বে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে গভীর করবে। পুতিনের ভাষায়, “আমার আসন্ন সফরে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সহযোগিতা আরও বিস্তৃত করার বিষয়ে আলোচনা হবেই।”

শুধু অর্থনীতি নয়, কৌশলগত ক্ষেত্রেও রাশিয়া-চীনের সমন্বয়ের কথা তুলে ধরেন পুতিন। তার ভাষায়, এই সহযোগিতা “বিশ্ব রাজনীতির একটি প্রধান উপাদান”। জাতিসংঘ ও গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস ইন ডিফেন্স অব দ্য ইউএন চার্টার-এ দুই দেশের যৌথ কাজকে তিনি গ্লোবাল সাউথকে শক্তিশালী করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করেন।

দুই দেশই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সংস্কারের পক্ষে, যাতে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব আরও বাড়ে এবং বর্তমান বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়। পুতিন বলেন, “আমরা ব্রিকসের মধ্যে চীনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি, যাতে এটি আন্তর্জাতিক কাঠামোর অন্যতম প্রধান ভিত্তি হিসেবে প্রভাব বাড়াতে পারে।”

তিনি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের সংস্কারের আহ্বান জানান। বেইজিংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি এমন এক “নতুন আর্থিক ব্যবস্থা” গড়ে তোলার স্বপ্নের কথা বলেন, যা হবে ন্যায্য, উন্মুক্ত এবং “নব-উপনিবেশবাদী উদ্দেশ্যের ঊর্ধ্বে।”

প্রসঙ্গত, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে রোববার চার দিনের সফরে দেশটিতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি প্রথমে তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এরপর বেইজিংয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ও জাপানের সামরিক পরাজয়ের ৮০তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort