নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচপীর দরগাহ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে ওই কেন্দ্রের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসারকে মেরে রক্তাক্ত করেছেন পরাজিত দুই প্রার্থী। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার বেশি হওয়ায় দুটি কেন্দ্র করে ভোট গ্রহণ করেন নির্বাচন অফিসার। ৯ নম্বর কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার ফখরুল ইসলাম ওই কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফলাফল অনুযায়ী বিজয়ী হয়েছেন ফুটবল প্রতীকের মানিক মিয়া। এতে খেপে যান মোরগ প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান ইউপি সদস্য আবু তাহের ও তালা প্রতীকের আল মাহবুব।
আবু তাহের মেম্বার, আল মাহবুব ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা পুলিশের উপস্থিতিতে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ফখরুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় পুলিশের বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। আল মাহবুব ও তার এক সমর্থককে পুলিশ আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইউসুফ-উর-রহমান জানান, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ১০ নম্বর কেন্দ্রে আমাদের এক প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধর করা হয়েছে। তার শরিরে বেশ কয়েকটি সিলি পরেছে। সরকারি কাজে বাধা এবং নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এ ঘটনায় পুলিশ ২জনকে আটক করেছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান গনমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।