জেলার শহরতলী মিরশ্বারইয়ের কাছে ধলেশ্বরী নদীতে বাল্গহেডের ধাক্কায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এমভি সাকি-২ নামের বাল্গহেড ডুবিতে ছয় জনকে জীবন্ত উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তারপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসএম আব্দুস সোবহান জানান, মাওয়া থেকে বালু ভর্তি করে ঢাকায় যাওয়ার পথে এভি সাকি-২ বিপরীতমুখী মাওয়াগামী খালি আরেক অজ্ঞাতনামা বাল্গহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়। এতে এমভি সাকি-২ এর চালকসহ ৬ স্টাফ অন্ধকারে নদীতে হাবুডুবু খেতে থাকে এবং সাঁতরে তীরে উঠার চেষ্টা করে। পরে আশপাশের নৌযান ও নৌ পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। তবে নৌ পুলিশ পালিয়ে যাওয়া খালি বাল্গহেডকে পেছন থেকে ধাওয়া করেও আটক করতে পারেনি।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুক্তারপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসএম আব্দুস সোবহান জানান, এখনও মামলা হয়নি। ডুবে যাওয়া বাল্গহেডের কাছেই নদী তীরে স্টাফরা অবস্থান করছে। তাদের নিরাপত্তায় সেখানে পুলিশও রয়েছে। আজ শুক্রবার বাল্গহেড উদ্ধারের তারা ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, বালু ভর্তি অবস্থায় বাল্গহেডগুলো নদীতে ডুবু-ডুবু অবস্থায় চলাচল করে। আর খালিগুলো অনেক উঁচু হয়ে যায়। তাই ঝুঁকি বেশি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাতে বালুবাহী জাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ। বৈধ বালুমহাল থেকেও দিনের আলোতে বালু কাটার বিধান। কিন্তু রাতেও বালু লুট হচ্ছে এবং শত-শত বাল্গহেড রাতে চলাচল করছে। এতে ধলেশ^রী, মেঘনা ও পদ্মায় চলাচলকারী লঞ্চসহ অন্যান নৌযান ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।