নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা এক সময় অত্যন্ত নিগৃহীত ছিল। পরে শেখ হাসিনার সরকার এসে বিভিন্নভাবে আপনাদের সম্মানিত করার চেষ্টা করেছে। সড়কের নাম করে দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সড়ক। মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থান চিহ্নিত করার জন্য সরকার কাজ করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন অনেক কাজ করেছে। তাদের ট্যাক্স মওকুফ করেছে। তাদের নিয়ে একটি শর্টফিল্মও করেছিলাম। কবরস্থানে দশ শতাংশ জায়গা করে দিয়েছি। পানির বিলও মওকুফ করে দেবো। যতটুকু পারি ততটুকু সুযোগ আমি করে দেবো।
বুধবার (১১ মে) দুপুরে নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন।
মেয়র আইভী বলেন, আমি সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সাধারণ মানুষের সাথেই আমার চলাফেরা। সত্যের পাশে থাকতে চাই। এর জন্য আমরা মৃত্যু হলে হবে। আমি ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও সত্য বলবো।
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে মেয়র আইভী বলেন, আপনাদের পাশে থাকতে চাই। তবে সত্যের সাথে আপনাদের থাকতে হবে। সাহস করে আপনারা সত্য না বলতে পারলে ভবিষ্যতের শিশুরা কী শিখবে? হ্যা কে হ্যা, এবং না কে না বলতে হবে। সাদাকে সাদা বলতে হবে, কালোকে কালো। এত ভয় পেলে তো হবে না। আমরা কী ভয় পাই নাকি টাকার কাছে নতজানু? আমার মনে হয়, আমরা খুব বেশি ভয় পাই না, কোথাও না কোথাও আমরা আত্মসমর্পন করে ফেলি। আত্মসমর্পন আল্লাহর কাছে করা উচিত। এই সময় আমি চাইবো, বীর মুক্তিযোদ্ধারাও যেন ভয় না পেয়ে আমার পাশে এসে দাঁড়ান।
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক সংবাদের চীফ রিপোর্টার সালাম জুবায়ের, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা, সদর উপজেলা কমান্ডার শাহজাহান ভূঁইয়া জুলহাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার রাজিব, নাসিক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, হেরিটেজ স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল দেলোয়ার হোসেন কাজল, মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন-শাহ্ প্রমুখ।