ঢাকার ধামরাইয়ের সেই ছাত্রলীগ সভাপতির নববধূ মাস পার না হতেই ফের ঘর বেঁধেছেন এক আইনজীবীর সঙ্গে। মঙ্গলবার রাতে তিনি স্বামীর ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে বুধবার বিকালে ওই আইনজীবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
স্বামী রাজীব হাসানের অমানুষিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি স্বামীর ঘর ছাড়েন বলে জানা গেছে।
ওই নববধূ এ নিয়ে ঘর বাঁধলেন চতুর্থবারের মতো। তিনি নববধূ হলেও ১৭ বছর বয়সে করেছেন ৪ স্বামীর ঘর। তিনি ২ সন্তানের জননী বলে নিশ্চিত করেছেন এলাকাবাসী।
তারা জানান, তিনি ২ স্বামীর ঘর ভেঙে তৃতীয়বারের মতো ঘর বাঁধেন ছাত্রলীগ সভাপতি রাজীব হাসানের সঙ্গে। এরপর তিনি চতুর্থ বারের মতো ঘর বাঁধেন আইনজীবীর সঙ্গে। ওই ছাত্রলীগ নেতা স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে গিয়েও স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
এলাকাবাসী জানান, মাস খানেক আগে বাস্তা গ্রামের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিনের ছেলে ওবালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীব হাসানের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের টানে ২ স্বামীর ঘর রেখে পালিয়ে এসে তৃতীয় স্বামী হিসাবে ঘর বাঁধেন গৃহবধূ। এজন্য তাকে না খেয়ে অনশনও করতে হয়। পরে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশেষে ছাত্রলীগ নেতা রাজীব তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বিয়ের মাস না গড়াতেই ছাত্রলীগ নেতার ওই নববধূ মঙ্গলবার রাতে পালিয়ে যান। এরপর বুধবার বিকালে উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম নামে এক আইনজীবীর সঙ্গে নতুন করে ঘর বাঁধেন।
এ ব্যাপারে ওই নববধূ জানান, ছাত্রলীগ নেতা রাজীব হাসান মানুষ নয়। ও স্বামীর যোগ্য নয়। একজন স্ত্রীর সঙ্গে কিভাবে আচরণ করতে হয় ও মর্যাদা দিতে হয় তা ও জানে না। রাজীব হাসান আমার ওপর অনেক জুলুম করেছে। কাজেই আমি বাধ্য হয়ে ওর ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। এছাড়া আমার আর কোনো পথ খোলা ছিল না।
ছাত্রলীগ নেতা রাজীব হাসান বলেন, আমি তার কোনো অমর্যাদা করিনি। আসলে কেউ যদি থাকতে না চায় তাহলে তাকে বেঁধে রাখা যায় না। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনজীবী শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই তরুণী রাজীবের ঘরে গিয়ে কোনো সুখ শান্তি পায়নি। বরং তিনি জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাই তিনি অতিষ্ঠ হয়ে আমার কাছে ফিরে আসলে আমি তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলি। আমার ঘরে কোনো স্ত্রী নেই তাই আমি এ সিদ্ধান্ত নেই।