মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরকে ভন্ডদের আখড়া বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। দেশটির টেনেসি অঙ্গরাজ্যের কৃষ্ণাঙ্গ দুই আইনপ্রণেতার সদস্যপদ কেড়ে নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ আখ্যা দেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ সকালে টেনেসির রাজধানী ন্যাশভিলের একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় ৬ জন নিহত হন। সেই ঘটনার পরপরই রাজ্যের বন্দুক আইন সংশোধন চেয়ে আন্দোলন দানা বেধে ওঠে। তার এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের একটি মিছিল রাজ্যের পার্লামেন্টের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে।
সে সময় পার্লামেন্টে অধিবেশন চলছিল। বিক্ষোভের কথা জানতে পেরে স্টেট পার্লামেন্টের তিন আইনপ্রণেতা জাস্টিন জোনস, জাস্টিন পিয়ারসন এবং গ্লোরিয়া জনসন অধিবেশন ত্যাগ করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে যান। তাদের এই আচরণকে পার্লামেন্টের বিধিভঙ্গ উল্লেখ করে তাদের সদস্যপদ বাতিলের ভোট আহ্বান করা হয়।
ভোটে দুই কৃষ্ণাঙ্গ আইনপ্রণেতা জাস্টিন জোনস ও জাস্টিন পিয়ারসন তাদের সদস্যপদ হারান। পক্ষান্তরে মাত্র একটি ভোটের কারণে সদস্যপদ হারানো থেকে বেঁচে যান গ্লোরিয়া জনসন।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জাস্টিন জোনস বলেন, এটি খুবই ভীতিকর যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান আমাদের কণ্ঠস্বর নীরব করে দিয়েছে। ভোটারদের পাশে দাঁড়ানোর দায়ে তারা আমাদের কণ্ঠস্বর থামিয়ে দিয়েছে।
দুজনের সদস্যপদ কেড়ে নেয়া হলো অথচ গ্লোরিয়া জনসনের সদস্যপদ অল্পের জন্য বহাল থেকে গেল কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে গ্লোরিয়া জনসন বলেন, ‘আমাদের গায়ের রঙের কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে।
সজীব ওয়াজেদ বিষয়টির প্রসঙ্গে বিবিসি নিউজের একটি সংবাদ শেয়ার দিয়ে তার স্ট্যাটাসে লিখেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যের আইনসভার সদস্যরা (একই অভিযোগে) ভোট দিয়ে দুই সংখ্যালঘু আইনপ্রণেতাকে বহিস্কার করেছে আর একজনকে শ্বেতাঙ্গ রেখে দিয়েছে। এই হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের অবস্থা। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভ-দের আখড়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথ নেয়ার পাঁচশ দিন পর কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে রিপাবলিকান পার্টি। সে সময় এ প্রসঙ্গে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচিত হবে তাদের নিজ দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা।