আল বায়াত স্টেডিয়াম ছিল লালে লাল। মরক্কোর লাল উৎসবের বদলে হলো ফরাসি উল্লাস। মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফ্রান্স টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স।
পাঁচ ম্যাচে মরক্কোর জালে বল পাঠাতে পারেনি প্রতিপক্ষ। আজ সেমিফাইনালে পাঁচ মিনিটেই মরক্কোর জালে ফ্রান্সের হার্নান্দেজের গোল। বর্তমান চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে দমে যায়নি মরক্কো। খেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করেছে সর্বাত্মক। প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে ম্যাচে ফিরিয়ে আসছিল প্রায় মরক্কো। ফ্রান্সের বক্সে ব্যাকভলি করা শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক হুগো লরিস।
দ্বিতীয়ার্ধে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স অত্যন্ত চাপে ছিল। মরক্কোর আক্রমণে সামলাতে ব্যতিব্যস্ত ছিল ফ্রান্স। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও দুর্বল ফিনিশিংয়ে আর গোল হয়নি৷ ফ্রান্সও ভালো রক্ষণ করেছে। মরক্কো সেমিফাইনালে যোগ্যতা প্রমাণ করেই এসেছে সেটা ফ্রান্স ভালোই টের পেয়েছে। দ্বিতীয় গোল হজমের আগ পর্যন্ত মরক্কোর যে কোনো সময় সমতা আনা মনে হয়েছিল অপেক্ষা।
এই টুর্নামেন্টে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ফ্রান্সের এমবাপে। তিনি তাঁর ঝলক দেখিয়েছেন ম্যাচ জুড়েই। দ্বিতীয় গোলটি তার পাসেই হয়েছে। বক্সের মধ্যে তিন জন ডিফেন্ডারের মাঝে বেরিয়ে গিয়ে কুনালের উদ্দেশ্যে বল ঠেলেন৷ অনেকটা ফাঁকায় দাড়ানো কুনালে প্লেসিংয়ে গোল করতে ভুল করেননি।
গোল করার ২ মিনিট আগেই নেমেছিলেন কুনালে। দ্বিতীয় গোলের পেছনে এমবাপ্পের যেমন অবদান তেমনি রয়েছে দেশমের কৌশলেরও। এমবাপ্পেকে মরক্কোর ফুটবলাররা কয়েকবার ফাউল করেন৷ বিষয়টি অনুধাবন করে তিনি এমবাপের পজিশন বদলে দেন। অভিজ্ঞ জিরুডকে উঠিয়ে তার জায়গায় খেলান এমবাপ্পেকে। সেই কৌশলে এমবাপ্পেকে দিয়ে গোল আদায় করেন দেশম।
মরক্কো বিগত ম্যাচগুলো দুর্দান্ত টিম স্পিরিটে খেলেছে। এই ম্যাচে সেই স্পিরিট থাকলেও ফ্রান্স যে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও এই টুর্নামেন্টের সেরা দল সেটা খেলাতে প্রমাণ হয়েছে। ফ্রান্স মরক্কোর চাপ উতরে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলেছে।