গত কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমের অতিষ্ঠ হয়ে উঠে নগরবাসী। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকালে ঝুম বৃষ্টি হয়। স্বস্থি ফিরে আসে নগরবাসীর মাঝে। কিন্তু পরক্ষনে অস্বস্থিতে পড়েন তারা। মাত্র আধা ঘন্টার বৃষ্টি নগরীর প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যায়। ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয় চাষাড়ার মার্ক টাওয়ার থেকে গলাচিপা পর্যন্ত সড়কে। নগরবাসীর সাথে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা। সড়ক ডুবে যাওয়ায় থমকে যায় সব ধরনের যানবাহনের গতি। কস্ট বাড়ে যাত্রীদের।
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ঈদের কেনাকটা করতে আসা ক্রেতা সাধারণ। হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় আগাম কোন প্রকার প্রস্তুতি না থাকায় অনেককেই ভিজতে হয়েছে। কেউ কেউ দৌড়ে দোকান ও মাকের্টে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেলেও বৃষ্টি থামার পর চরম বেকাদায় পড়েন তারা। কারণ সড়কে ব্যাপক পানি জমে যায়। রিকশা না পেয়ে ময়লা পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে তাদের।
এদিকে ভোগান্তির শিকার হয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেকেই। পপুলার ডায়াগরস্টিক সেন্টারের সামনে আমির হোসেন (৪৭) নামে এক ব্যক্তি জানান, পানির কারণে কোন রিকসা পাই নাই। তাই হেটেই যাচ্ছি। বৃষ্টির পানির সাথে ড্রেনের পানি মিশে গেছে। সেই পানি মাড়িয়ে উকিলপাড়ার দিকে যাচ্ছি।
গলাচিপা এলাকার ইয়ামিন নামে ্এক যুবক বলেন, বৃষ্টি হলেই এই সড়কটি ডুবে যায়। কেমন উন্নয়ন, বুঝলাম না। এর কি কোন সমাধান নাই। কেন বৃষ্টি হলে পানিতে তলিয়ে যায় বঙ্গবন্ধ সড়ক, এটা তো সিটি করপোরেশনের ভালোভাবে দেখা উচিৎ।
মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ি জানান, মার্কেটের ব্যবসায়িরা নাকি ড্রেনে পলিথিন ফেলে। এতে করে বৃষ্টি হলে ড্রেনে পানি আটকে যায়। এবং সড়কে পানি জমে। এটা একটা খোড়া যুক্তি। পলিথিনের কারণে পানি জমলে সারা শহরেই পানি জমতো। কারণ দোকানীরা তো সারা শহরেরই পলিথিন ফেলে। অন্যদিকে তো এমন পানি জমে না। শুধু বঙ্গবন্ধু সড়কেরই জমে কেন? প্রশ্ন করেন তারা।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা বছর বছর টাকা দিয়ে টেড লাইন্সেস নবায়ন করি। কি সেবাটা পাচ্ছি। পলিথিন বা দোকানের ময়লা ফেলার কোন ডাস্টবিন কি আছে? সিটি করপোরেশন কি কোন ডাস্টবিন দিয়েছে যে ওইটাতে মানুষ ময়লা ফেলবে।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১০টা বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে পুরোপুরি পানি সরে যায়নি।
প্রসঙ্গত: প্রতি বছর বৃষ্টি হলেও ডুবে যায় বঙ্গবন্ধু সড়ক। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই কেন ডুবে যায় গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক, তার সুরাহা হয়নি বহু বছরেও।