বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত রাজগঞ্জ খাল উদ্ধার অভিযান, খুশি স্থানীয়রা ১৭ বছর আগের বিকিনি বিতর্কের ব্যাখ্যা দিলেন নয়নতারা ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি বাংলাদেশের ব্যাটিং, হার টানা পাঁচ টেস্টে ষড়যন্ত্র চলছে, সবাইকে সতর্ক থাকতে বললেন তারেক রহমান বিক্ষোভ-সংঘর্ষে অস্থিরতা, শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলো হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের সিদ্ধিরগঞ্জে ফ্ল্যাট বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি, ২ লাখ টাকা ও স্বর্নালংকার লুট ‘নারায়ণগঞ্জ ক্লাব নির্বাচন-২০২৫’ এর প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র দাখিল বন্দরে ২০ কেঁজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ৩

বৃষ্টি ভেজা না.গঞ্জ: ছাতা মাথায় ছুটছে মানুষ

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ২.৫১ এএম
  • ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নারায়ণগঞ্জে কাল (২৪ অক্টোবর) রাত থেকে সোমবার (২৪ অক্টোবর)দিনভর কখেনো মুষলধারে আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। কেউ ছাতা মাথায় আবার কেউ পলিথিন মুড়িয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এসময় প্রচণ্ড বাতাসে অনেকের ছাতা উল্টে যাওয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে। কেউ আবার বাতাশের ভয়ে ছাতা বন্ধ করে দাঁরিয়ে ছিলেন দোকান ও মার্কেটের নিচে।

 

সোমবার (২৪ অক্টোবর)সকালে নারায়ণগঞ্জ ১নং খেয়া ঘাটে (বন্দর ঘাট) নৌকা সংকট দেখা গেছে। আর ঘাটে নৌকা কম থাকার সুজোগে বৃষ্টির অজুহাতে মাঝিরাও বেশি ভাড়া হাকছেন বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। তবে, যাত্রী পারা পারের জন্য এ ঘাটে ৬টি ট্রলার চলেও শহর মুখি মানুষের চাপ ছিলো চোখে পড়ার মত। মানুষের ভীরে অনেকে যাত্রী আবার ট্রলালে উঠতে না পাড়ায় নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় দোকান ও মার্কেটের নিচে অবস্থান করতেও দেখা গেছে।

 

সকাল ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ১নং খেয়া ঘাট হাতে বৃষ্টিতে ভিজে শহরের নয়ামাটি এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন দিনমজুর রবিউল মিয়া। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে রবিউল মিয়া বলেন, করি কামলার কাম, ছাতা মাথায় চলা আমাগো মানায় না। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই কাজের সন্ধানে বের হয়েছি।

বেলা ১১টায় ঘাটে দাঁরিয়ে থাকা কলেজ ছাত্রী দিপ্তি বলেন, আধ ঘণ্টা ধরে রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছি, কিন্তু রিক্সা পাচ্ছি না। আর একটু দেখবো, রিক্সা না পেলে বৃষ্টিতে ভিজে হেটে হেটেই বাসায় যাব।

 

চাকরিজীবী হাসান বলেন, ট্রলারে যে ভীর তাতে উঠা মুশকিল। আর উঠতে পারলেও পুরো ভিজে যেতে হবে। তাই রিজার্ভ নৌকায় নদী পাড় হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যেখানে রিজার্ভ নৌকায় নদী পাড় হতে ৪০ ভাড়া লাগে, সেখানে বৃষ্টির কারণে না হয় মাঝি ভাড়া ১০ টাকা বেশি চাইতে পারেন। কিন্তু দ্বিগুণের বেশি ১শ’ টাকা চাচ্ছে। অফিস আছে, কিছুই করার নেই। বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হবে।

এ ব্যাপারে নৌকার মাঝিরা বলেন, পরিবারের খাবার কিনতে হবে, তাই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই নৌকা চালাতে হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আসলেও কিছু করার নেই। আমাদের তো নৌকা চালিয়ে ভাতের জোগাড় করতে হবে। আর ভারা বেশি চাওয়ার ব্যাপারে তারা বলেন, বিষ্টিতে ভিজে নৌকা চালাই আজ একটু বেশি কামাই না করলে কি ভাবে হবে। তার উপর যদি ভারা বেশি না পাই বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ হয়ে দু’দিন ঘরে পরে থাকলে আমাদের দেখবে কে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort