ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নারায়ণগঞ্জে কাল (২৪ অক্টোবর) রাত থেকে সোমবার (২৪ অক্টোবর)দিনভর কখেনো মুষলধারে আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। কেউ ছাতা মাথায় আবার কেউ পলিথিন মুড়িয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এসময় প্রচণ্ড বাতাসে অনেকের ছাতা উল্টে যাওয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে। কেউ আবার বাতাশের ভয়ে ছাতা বন্ধ করে দাঁরিয়ে ছিলেন দোকান ও মার্কেটের নিচে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর)সকালে নারায়ণগঞ্জ ১নং খেয়া ঘাটে (বন্দর ঘাট) নৌকা সংকট দেখা গেছে। আর ঘাটে নৌকা কম থাকার সুজোগে বৃষ্টির অজুহাতে মাঝিরাও বেশি ভাড়া হাকছেন বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। তবে, যাত্রী পারা পারের জন্য এ ঘাটে ৬টি ট্রলার চলেও শহর মুখি মানুষের চাপ ছিলো চোখে পড়ার মত। মানুষের ভীরে অনেকে যাত্রী আবার ট্রলালে উঠতে না পাড়ায় নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় দোকান ও মার্কেটের নিচে অবস্থান করতেও দেখা গেছে।
সকাল ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ১নং খেয়া ঘাট হাতে বৃষ্টিতে ভিজে শহরের নয়ামাটি এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন দিনমজুর রবিউল মিয়া। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে রবিউল মিয়া বলেন, করি কামলার কাম, ছাতা মাথায় চলা আমাগো মানায় না। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই কাজের সন্ধানে বের হয়েছি।
বেলা ১১টায় ঘাটে দাঁরিয়ে থাকা কলেজ ছাত্রী দিপ্তি বলেন, আধ ঘণ্টা ধরে রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছি, কিন্তু রিক্সা পাচ্ছি না। আর একটু দেখবো, রিক্সা না পেলে বৃষ্টিতে ভিজে হেটে হেটেই বাসায় যাব।
চাকরিজীবী হাসান বলেন, ট্রলারে যে ভীর তাতে উঠা মুশকিল। আর উঠতে পারলেও পুরো ভিজে যেতে হবে। তাই রিজার্ভ নৌকায় নদী পাড় হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যেখানে রিজার্ভ নৌকায় নদী পাড় হতে ৪০ ভাড়া লাগে, সেখানে বৃষ্টির কারণে না হয় মাঝি ভাড়া ১০ টাকা বেশি চাইতে পারেন। কিন্তু দ্বিগুণের বেশি ১শ’ টাকা চাচ্ছে। অফিস আছে, কিছুই করার নেই। বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হবে।
এ ব্যাপারে নৌকার মাঝিরা বলেন, পরিবারের খাবার কিনতে হবে, তাই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই নৌকা চালাতে হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আসলেও কিছু করার নেই। আমাদের তো নৌকা চালিয়ে ভাতের জোগাড় করতে হবে। আর ভারা বেশি চাওয়ার ব্যাপারে তারা বলেন, বিষ্টিতে ভিজে নৌকা চালাই আজ একটু বেশি কামাই না করলে কি ভাবে হবে। তার উপর যদি ভারা বেশি না পাই বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ হয়ে দু’দিন ঘরে পরে থাকলে আমাদের দেখবে কে।