‘প্রথমে মোবাইল ফোনে পরিচয় অতঃপর প্রেমের সম্পর্ক এরপর বিয়ের নাটক সাজিয়ে স্বজনদের সহোযোগিতায় এক তরুনী (৩৫)কে একাধিক বার ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে।’
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঐ তরুনী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় আমেরিকা প্রবাসী মকবুল হোসেন মৃধা সহ তার পাচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
মামলার আসামীরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার হরিহর পাড়ার আমতলাস্থ মৃত আব্দুল মতিন মৃধার পুত্র আমেরিকা প্রবাসী মকবুল হোসেন (৫৫),চাদঁপুর জেলার সদর থানার প্রফেসর পাড়ার মৃত করিম গাজীর পুত্র সৈয়দ আলী(৫০), তার স্ত্রী ও মকবুলের বোন হোসনা বেগম(৪৫), ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চি মাসদাইরের রফিকুল ইসলামের মেয়ে লাভলি(৩২), একই থানার ধর্মগঞ্জ ঢালি পাড়ার মৃত আমির হোসেনের মেয়ে ইভা(২৭)।
- মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, মকবুল হোসেন মৃধার সাথে ২০২১ সালের শুরুর দিক বাদীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রথমে পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় তরুনীকে। চলতি বছরের ২৩ মার্চ মকবুল হোসেন বাদীকে জানায় সে চাঁদপুরে বোনের বাসায় এসে খুব অসুস্থ হয়ে পরেছে এবং তাকে চাঁদপুর আসার অনুরোধ করে। সে তার কথায় বিশ্বাস করে বাদী নরসিংদীর বাসা থেকে দুপুরে চাঁদপুর যায়। সেখানে রাতে ১১ টার দিকে স্থানীয় এক হুজুর কে ডেকে এনে মিথ্যে বিয়ে পরানো ও হয়। পরবর্তীতে তারা সেখানে স্বামী স্ত্রী হিসেবে রাত্রি যাপন করে এবং শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। একদিন পর ৩ তারিখ তারা চাঁদপুর থেকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ ঢালিপাড়াস্থ মকবুলের বড় ভাই মৃত আমিরের বাসায় চলে আসে। এখানেও তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো রাত্রি যাপন করে এবং একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক করে। ৬ মার্চ সকাল ৭টার দিকে বাদীকে তার নিজ বাসায় চলে যেতে বলে।বাদীকে তখন বলা হয় পারিবারিক ভাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাকে নিয়ে আসা হবে।বাদী তখন তার নরসিংদী চলে যায়। এরপর থেকে মকবুল নানা টালবাহনা করতে থাকে এবং বাদীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। জুলাই মাসের ৩০ তারিখে বাদী জানতে পারে মকবুল ঢালিপাড়াস্থ তার ভাইয়ের বাড়ীতে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাদী ঢালীপাড়ায় এসে মকবুল কে খুজে পায়। কিন্ত মকবুল তাকে অস্বীকার করে। এক পর্যায়ে বাদীকে কোমল পানীয়ের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়প অচেনত করে বাড়ীর বাইর বের করে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় মহিলা মেম্বার সহ পথচারীরা তাকে রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার ভাই সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে আসে এবল চিকিৎসা শেষে তাকে ২ আগস্ট নরসিংদী নিজ বাসায় নিয়ে যায়।