এবারের মহান বিজয় দিবসে দেশব্যাপী শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে সেটি ঠিক কী ধরনের শপথ তা জানানো হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে দুটি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ দুই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা প্রদান সংক্রান্ত আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুই সভাতেই সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে অনুষ্ঠান, সেই অনুষ্ঠানে বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে সারা দেশে একটা শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। সেখানে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবেন। তারপর সাড়ে ৫টা থেকে আলোচনা সভা শুরু হবে।’
কী শপথ হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে পরে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাব।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজাতে আমরা এবার প্রোগ্রামটা করছি। এর আগে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে করেছিলাম। ১৬ ডিসেম্বরে সবসময় একটা কুচকাওয়াজ হয়। এবার যে কুচকাওয়াজ হবে, সেটা বড় আকারে হবে। সেখানে ছয়টি দেশের প্রতিনিধি আসবে বলেও জানান তিনি। এটি একটি আন্তর্জাতিক একটি প্যারেড হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘মহা বিজয়ের মহানায়ক’ । এই শিরোনামে আমরা অনুষ্ঠান করছি দুই দিনব্যাপী। প্রথম অনুষ্ঠান হবে ১৬ ডিসেম্বর ও পরেরটা হবে ১৭ ডিসেম্বর ‘
বিজয় দিবসের দিনের আলোচনা সভায় ভারতের রাষ্ট্রপতি যোগদান করবেন বলেও জানান কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও থাকবেন। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। দুটোর সমন্বয়ে যাতে সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান হয়, সে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। সেজন্য সারা দেশের মানুষের একটি আগ্রহ রয়েছে। তারা সবাই উন্মুখ রয়েছে, এ অনুষ্ঠানে তারা অংশগ্রহণ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যে যেখানে থাকে, তারা এ অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে অংশগ্রহণ করবেন। ১৬ ডিসেম্বর থেকে আরম্ভ করে বাকি দিনগুলো যাতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারি, সেজন্য এ সভা করা হয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে একটা নিরাপত্তা সাব কমিটি আছে, সেটার পঞ্চম সভা। সেই সভাটি আজকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে সুন্দরভাবে হয়। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ। এই আলোকে সবকিছুই নিরাপদে করতে পারব। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।’
এ সময় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।