বিএনপি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি মহল চায় বাংলাদেশে সবসময় একটা গোলমাল লেগেই থাকুক। তারা সবসময় এই চেষ্টাই করে।
তিনি বলেন, এই চেষ্টা তারা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে। এই দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি কে করেছে? কখন হয়েছে? বাংলাভাই কখন সৃষ্টি হয়েছে? এটা তো বিএনপির আমলেই। আমরা আসার পর জঙ্গিবাদ দমন করেছি। এখন তারা ইলেকশন করে না। এরা ইলেকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলে কীভাবে? জিয়াউর রহমান কি ইলেকশন করেছিল?
গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে সদ্যসমাপ্ত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বুধবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমসাময়িক নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে ২০০১ সালে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিএনপি ও জামায়াত হলো ক্ষমতার ছত্রছায়ার দল। ক্ষমতার বাইরে এদের টিকে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। এদের শেকড়ে জোর নেই।
তিনি বলেন, পঁচাত্তর সাল থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত বা ২০০৯ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল- তারা কেন পারেনি এই দেশকে উন্নত করতে? পারেনি একটি কারণে, তারা বাংলাদেশকে কখনো উন্নত করতে চায়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশের একটা সম্মান, একটা মর্যাদা- এটা তাদের কাছে ভালো লাগবে না। আপনারা তো দেখেছেন চলন্ত বাসে আগুন দিয়ে কীভাবে মানুষ পোড়ানো হয়েছে? ২০০১ সালে কীভাবে মেয়েদের রেপ (ধর্ষণ) করা হয়েছে, কীভাবে মানুষের ঘরবাড়ি দখল হয়েছে। চোখ তুলে, হাত কেটে হত্যা করা হয়েছে। সেটা তো দেখেছেন? জিয়াউর রহমানের আমলে হয়তো অনেকে ছোট ছিলেন, দেখতে পারেননি। সেই সময় মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে।’
২০১৪ সালে বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি তুলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন করবে না। নির্বাচন করবে কীভাবে? ইলেকশন করতে হলে যে সাংগঠনিক শক্তির দরকার হয় সেটা যখন নেই তখন তারা আমরা নির্বাচন করব না বলে নিজেদের দৈন্যতা প্রকাশ করে। তারা জানে, আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন করেছে, সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়, আওয়ামী লীগ জিতে যায়।
তিনি বলেন, সব অর্থ চুরি করে নিয়ে বিদেশে আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছে। সামান্য কিছু টাকা আমরা উদ্ধার করে এনেছি, সেটা খালেদা জিয়ার এক ছেলের টাকা। আর বাকিটা তো আছে সেখানে বাংলাদেশের মধ্যে কীভাবে গোলমালটা পাকাবে। আজ এখানে বোমা হামলা, কালকে ওখানে মন্দির ভাঙা, মন্দিরের ওপরে কুরআন শরিফ রাখা- এসব কারা নিয়ন্ত্রণ করে? তথ্য বের হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।